ঢাকা, সোমবার, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জুন ২০২৫, ১২ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লস অ্যাঞ্জেলেসে দফায় দফায় সংঘর্ষ 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪১, জুন ৯, ২০২৫
লস অ্যাঞ্জেলেসে দফায় দফায় সংঘর্ষ  লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ

লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসীদের ধরপাকড় অভিযান (আইসিই) শুরু হওয়ার পর শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেক জায়গায় এসব বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শহরে ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। রোববার বিকেলে ডাউনটাউন লস অ্যাঞ্জেলেসে মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারের সামনে বিক্ষোভকারীরা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। তখন কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়।

আইসিই-এর অভিযানের পর শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে-বিশেষ করে ওয়েস্টলেক, ডাউনটাউন এলএ এবং প্যারামাউন্টে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হন।

এলএপিডি প্রধান জিম ম্যাকডোনেল জানান, শনিবার ও রবিবার মিলিয়ে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশ ফেডারেল অভিবাসন আইনের প্রয়োগে অংশ নেয় না।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ও এলএ মেয়রের সমালোচনা করেন এবং বলেন তারা দায়িত্বে ব্যর্থ হয়েছেন।

এদিকে, গভর্নর গ্যাভিন নিউজম ও মেয়র কারেন বাস সেনা মোতায়েনকে অপ্রয়োজনীয় ও উত্তেজনা বাড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন।

রোববার দুপুরে শান্তভাবে শুরু হওয়া বিক্ষোভ পরে উত্তেজনায় রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে পড়ে, পুলিশের দিকে জিনিস ছুঁড়ে মারে এবং কিছু জায়গায় গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।  

পুলিশ জানায়, দুই কর্মকর্তাকে মোটরসাইকেলে আঘাত করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।

কংগ্রেস সদস্য ন্যানেট ব্যারগান জানান, আইসিই অভিযান আগামী ৩০ দিন প্রতিদিন চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও স্থানীয় শেরিফ অফিস আইসিই অভিযান চালাতে সরাসরি সাহায্য করছে না, তারা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে।

বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেসে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত এবং স্থানীয় প্রশাসন ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে মতবিরোধ চলছে।  

আইসিই’র বরাতে বিবিসি জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসে চলতি সপ্তাহে মোট ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে ‘মুক্তি দাও, মুক্তি দাও’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।