ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পারমাণবিক চুক্তি হলে নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রত্যাহার হবে জানতে চায় ইরান

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫৩, জুন ৩, ২০২৫
পারমাণবিক চুক্তি হলে নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রত্যাহার হবে জানতে চায় ইরান এস্মাইল বাঘাই। ছবি সংগৃহীত

নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে নিষেধাজ্ঞা কীভাবে প্রত্যাহার করা হবে,  যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে ইরান।

সোমবার(২ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস্মাইল বাঘাই এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রস্তাবে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় স্পষ্টতা নেই।

তিনি জানান, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে— এটাই তাদের অধিকার।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণকে ‘রেড লাইন’ হিসেবে দেখছেন এবং এই কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করার দাবিতে অনড় রয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে একটি জাতিসংঘের গোপন প্রতিবেদন ফাঁস হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে—ইরান বর্তমানে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার (প্রায় ৪ শতাংশ) অনেক বেশি এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য দরকারি ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। বাঘাঈ এই প্রতিবেদনকে পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়েছেন। তার দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে জাতিসংঘ ইরানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।

তেহরান স্বীকার করেছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব পেয়েছে, তবে এখনো তা পর্যালোচনা করছে। দেশটির কিছু কর্মকর্তার মতে, প্রস্তাবটি মূলত একটি "নন-স্টার্টার"—কারণ এতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান বদলায়নি এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত অংশটি অত্যন্ত অস্পষ্ট।

গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া আলোচনার মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে পাঁচ দফা বৈঠক করেছে এবং সাত সপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আশ্বস্ত হতে চাইছে যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ; অন্যদিকে ইরান চাইছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে, যা গত কয়েক বছর ধরে তাদের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে।

এই প্রেক্ষাপটে তেহরান এখন দৃঢ়ভাবে বলছে—যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে কখন এবং কীভাবে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও এর আগেই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। দেশটির সরকারের অবস্থানে এখন তার সেই সতর্কতা আরও জোরালোভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।