ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে যাচ্ছেন কিম জং উন, থাকছেন পুতিনও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৫৫, আগস্ট ২৮, ২০২৫
চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে যাচ্ছেন কিম জং উন, থাকছেন পুতিনও কিম জং উন ও শি জিনপিং

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

‘বিজয় দিবস’ নামে পরিচিত এ কুচকাওয়াজে চীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ মোট ২৬ জন রাষ্ট্রপ্রধানের এ আয়োজনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

চীন এ কুচকাওয়াজে শত শত যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমসহ তাদের সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করবে। এটিই হবে চীনের সেনাবাহিনীর নতুন সামরিক সরঞ্জামের প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রদর্শনী।

এ কুচকাওয়াজে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে প্যারেড করবেন চীনের কয়েক হাজার সেনা। এতে থাকবে চীনের সেনাবাহিনীর ৪৫টি তথাকথিত ‘সেনাদলের সারি’ এবং যুদ্ধে অংশ নেওয়া প্রবীণ সৈনিকরা।

৭০ মিনিটের এ কুচকাওয়াজ পর্যবেক্ষণ করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমা শক্তি ও বিশ্লেষকরা এ অনুষ্ঠান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের ‘ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের’ প্রশংসা করে জানায়, দুই দেশ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

২০১৫ সালের শেষ বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে উত্তর কোরিয়া শীর্ষ নেতাকে না পাঠিয়ে কেবল উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা চো রিয়ং-হে-কে পাঠিয়েছিল। তাই এবার কিম জং উনের উপস্থিতিকে সম্পর্কের একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বেইজিংয়ে পুতিন ও শি জিনপিংয়ের পাশে কিমের উপস্থিতি হবে বিশেষ এক মুহূর্ত। তবে শুধু প্রতীকী নয়, বিষয়টিকে শি জিনপিংয়ের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক অর্জন হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি গত সপ্তাহে তিনি কিমের সঙ্গেও আবার বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এ অবস্থায় শি জিনপিং ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ভূরাজনৈতিক এই খেলায় নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই। কিম ও পুতিন—দুজনের ওপরই সীমিত হলেও তার প্রভাব রয়েছে।

সময়ের দিক থেকেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে, অক্টোবরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এশিয়া সফরে আসতে পারেন এবং শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকেও তিনি আগ্রহী।  

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে কিম ও পুতিনের কাছ থেকে সরাসরি সব তথ্য জেনে নেবেন শি জিনপিং। ফলে আলোচনার কেন্দ্র থেকে তিনি বাদ পড়ছেন, এমন আশঙ্কা তার থাকবে না।

কিম সর্বশেষ বেইজিং সফর করেছিলেন ২০১৯ সালে, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে। এর আগে তিনি ২০১৮ সালে টানা তিনবার চীন সফর করেছিলেন।

সপ্তাহের শুরুতে জাপান ইউরোপীয় ও এশীয় দেশগুলোকে কুচকাওয়াজে অংশ না নিতে আহ্বান জানিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ নেতাই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না। এর কারণ মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মতবিরোধ।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।