রাশিয়া ও ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যেই শনিবার একযোগে আরও ৩০৭ জন করে বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এর আগের দিনও উভয় পক্ষ ৩৯০ জন যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দিয়েছিল।
এভাবে এক সপ্তাহান্তে দুই পক্ষ মিলিয়ে এক হাজারের বেশি বন্দি মুক্তি দিতে যাচ্ছে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্ববৃহৎ বন্দি বিনিময়।
এই বিনিময়ের পূর্বে চলতি মে মাসের শুরুতে ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেন মুখোমুখি শান্তি আলোচনায় বসে, যেখানে ১,০০০ জন বন্দি মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে চুক্তি হয়।
বন্দি বিনিময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়া কিয়েভে একটি বড় ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা চলমান যুদ্ধের অন্যতম ভয়াবহ আক্রমণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
রুশ বাহিনী ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৫০টি ইরানি-নির্মিত 'শাহেদ' ড্রোন ছোড়ে। ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে তারা এর অধিকাংশ ভূপাতিত করতে সক্ষম হলেও, অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
কিয়েভের ছয়টি জেলাতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে। ওবলোন জেলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেখানে ৫ জন আহত হয়। সোলোমিয়ানস্কি জেলায় কয়েকটি স্থানে আগুন ধরে যায়। পুরো শহরে সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিমান হামলা সতর্কতা বজায় ছিল।
শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত রুশ হামলায় দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তর ইউক্রেনে অন্তত ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা, গোয়েন্দা কেন্দ্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘাঁটি।
তারা আরও দাবি করেছে, ওডেসা বন্দরে একটি যুদ্ধসামগ্রীবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিয়েভস্থ রাষ্ট্রদূত কাতারিনা মাথের্নোভা হামলাকে “ভয়াবহ” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, যদি কেউ এখনও সন্দেহ করে যে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় কি না — তাহলে আজকের খবরই তার জবাব।
এমএম