ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অপার মহিমার রমজান

সূর্যাস্ত-সূর্যোদয় ফারাক, কোন দেশে কত ঘণ্টা রোজা?

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
সূর্যাস্ত-সূর্যোদয় ফারাক, কোন দেশে কত ঘণ্টা রোজা?

শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। পৃথিবীব্যাপী মুসলিম উম্মাহর ইবাদত-বন্দেগী ও রোজা পালনের মধ্য দিয়ে পবিত্র এ মাসটি অতিবাহিত হবে।

 

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়ের পার্থক্য দেখা যায়। তাই রোজা রাখার সময়ও কমবেশি হয়। এ বছর রমজানে বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্য রোজার সময় হবে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। তবে বিশ্বের কোথাও কোথাও রোজা হবে ১২ ঘণ্টা থেকে ১৮ ঘণ্টা।

এ বছর সবচেয়ে বেশি সময় রোজা রাখতে হচ্ছে নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দাদের। তাদের ১৮ ঘণ্টা ১২ মিনিট রোজা রাখতে হচ্ছে।

পর ১৭ ঘণ্টার অধিক সময় রোজা রাখতে হচ্ছে স্কটল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের বাসিন্দাদের। এছাড়া ১৬ ঘণ্টা করে রোজা রাখতে হবে নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, কাজাখস্তান, বেলজিয়ামের মুসলমানদের। আর ১৫ ঘণ্টা করে রোজা রাখবেন ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, রোমানিয়া, কানাডা, বুলগেরিয়া, ইতালি, স্পেনের মুসলিমরা।

এদিকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, তুরস্কসহ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের বাসিন্দাদের গড়ে পালন করতে হবে ১৪ ঘণ্টা করে রোজা।

এছাড়া এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশের মুসলিমরা ১৩ ঘণ্টা করে রোজা পালন করবেন। দেশগুলো হলো- ইথিওপিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সুদান, মালয়েশিয়া, কেনিয়া, অ্যাঙ্গোলা, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

অন্যদিকে সবচেয়ে কম সময় রোজা রাখবেন বেশ কিছু দেশের বাসিন্দারা। তাদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড ১২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট, চিলি ১২ ঘণ্টা ১৮ মিনিট, উরুগুয়ে ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট, অস্ট্রেলিয়া ১২ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ও দক্ষিণ আফ্রিকা ১২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এছাড়া আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের বাসিন্দারাও ১২ ঘণ্টা করে রোজা রাখবেন।

তবে ব্যতিক্রম পৃথিবীর সর্ব উত্তরে যেসব দেশ বা অঞ্চলে, যেখানে সূর্য ওঠে না বা অস্ত যায় না। কানাডার ইউকোন অঞ্চল, সুইডেনের উত্তরে কিরুনা শহর, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ডেনমার্ক ও আমেরিকার আলাস্কা রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় সূর্য অস্ত যায় না। এসব অঞ্চলে রোজা শুরু হলে বাসিন্দাদের অনেক সময় সাহরি করে ইফতার বা ইফতারের পরপরই সাহরি করতে হয়।  

তবে, এসব অঞ্চলের মুসলিম বাসিন্দাদের মক্কা নগরীর সময়ের সঙ্গে অথবা সবচেয়ে কাছের মুসলিম দেশের সময় অনুসরণ করে রোজা রাখা ও ইফতার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।