ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ চৈত্র ১৪৩২, ১৫ মে ২০২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের দাবি: ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২০, মে ১৪, ২০২৫
ট্রাম্পের দাবি: ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারা—এমন দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (১৪ মে) সৌদি আরব থেকে কাতার যাওয়ার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট সারাকে বলেছি, যখনই আপনারা প্রস্তুত থাকবেন, আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যুক্ত হতে পারেন।

তিনি সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বলেছেন। তবে এখনো তাদের অনেক কাজ বাকি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত হয় ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’। এ চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান। ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, তিনি এখন সৌদি আরব, সিরিয়াসহ আরও কয়েকটি মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করছেন।

এই সফরের অংশ হিসেবে বুধবার সৌদির রাজধানী রিয়াদে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও আহমেদ আল সারার মধ্যে সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৩৩ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠককে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ দীর্ঘ ২৫ বছর পর সিরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এমন বৈঠক হলো।

বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, সারা একজন তরুণ, আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী নেতা। তিনি একজন যোদ্ধা, যার শক্তিশালী অতীত রয়েছে।

এদিকে বৈঠকের কিছুক্ষণ আগে হোয়াইট হাউস ঘোষণা দেয়, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে বড় পদক্ষেপ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার দামেস্ক প্রতিনিধি ইমরান খান জানিয়েছেন, বৈঠকে ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেন, আইএসআইএল যেন সিরিয়ায় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। জবাবে সারা জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং রাসায়নিক অস্ত্র নির্মূলে সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একই অবস্থান নেবে।

ট্রাম্প আরও আহ্বান জানান, সিরিয়ার ভেতর থাকা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যেন দেশটি বহিষ্কার করে এবং বিদেশি যেসব যোদ্ধাকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।