ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ধ্বংসস্তূপে এখনও মিলছে প্রাণের আওয়াজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
ধ্বংসস্তূপে এখনও মিলছে প্রাণের আওয়াজ

তুরস্কে ভূমিকম্পের পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধারকারীরা জানান, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে তারা এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে কণ্ঠস্বরের শব্দ শুনছেন।

সিএনএন।

গেল ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও জীবিত লোকজনকে উদ্ধারের আশা করছেন 

সিনএনের অধিভুক্ত সিএনএন টার্কে সরাসরি প্রচার করা ছবিতে দেখা যায়, উদ্ধারকারীরা কাহরামানমারাস অঞ্চলের দুটি জায়গায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা তিন বোনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছেন। ধারণা করা হয় যে, ওই তিন বোন ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে।  

একই অঞ্চলে মঙ্গলবার উদ্ধারকারীরা ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে তোলেন। আগের দিন সোমবার ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ১৮৫ ঘণ্টা চাপা থাকার পর উদ্ধার করা হয়।  

শক্তিশালী ভূমিকম্পের আট দিন পর পর্যন্ত নিহত বেড়ে ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সময় যত গড়াচ্ছে, জীবিত উদ্ধারের সংখ্যা ও গল্প স্বল্প ও বিরল হয়ে আসছে।  

সোমবার জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো শহরে পরিদর্শনে গিয়ে বলেন, উদ্ধারের পর্যায় শেষের কাছাকাছি।
 
তিনি বলেন, এখন মানবিক পর্যায় শুরু হচ্ছে। জরুরিভাবে আশ্রয়, মনস্তাত্ত্বিক সেবা, খাদ্য, পড়াশোনা ও লোকজনের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।  

সিরিয়ায় গত সপ্তাহেই অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ ঘোষণা করা হোয়াইট হেলমেটস সোমবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে সাত দিনের শোক ঘোষণা করে।  

সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ত্রাণ আসার গতি ধীর। গত কয়েক দশক ধরে চলা সংঘাতে এই অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। এখন ভুক্তভোগীরা খাবার, আশ্রয় ওষুধের অভাবের পাশাপাশি হিমশীতল ঠান্ডায় দুর্ভোগে পড়েছেন।  

সোমবার জাতিসংঘ বলেছে, তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের তুরস্ক-সিরিয়ার মধ্যে আরও দুটি সীমান্তপথ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।  

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় মঙ্গলবার তার দেশে খাবার ও সাহায্যের সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করেন। টেলিভিশনে তিনি বলেন, লোকজনকে খাওয়ানোয় কোনো সমস্যা নেই। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কয়েক লাখ কম্বল পাঠানো হয়েছে।  

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ৯ হাজার ২০০'র বেশি বিদেশি কর্মী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। একশর মতো দেশ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।