ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

গুজবের তালিকা বিটিআরসি’তে দেবে তথ্য মন্ত্রণালয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
গুজবের তালিকা বিটিআরসি’তে দেবে তথ্য মন্ত্রণালয় সভায় কথা বলছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গুজবের ঘটনা যাচাই করে মানুষকে সঠিক তথ্য জানানোর পাশাপাশি সেগুলো ব্লক করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) অনুরোধ করবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত ‘গুজব মনিটরিং সেল’।

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে এই সেলের কার্যক্রম নির্ধারণ ও সহযোগিতা কার্যকর বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

**স্যোশাল মিডিয়ায় গুজব শনাক্তে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সেল গঠন
 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া গুজবের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে নয় সদস্যের একটি সেল গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে সেলের কার্যক্রম প্রক্রিয়া তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।


 
তারানা হালিম বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য অধিদফতরকে অবহিত করা হবে এই মুহূর্তে অনলাইনে যে গুজব ঘুরে বেড়াচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে।
 
গুজবের ভেরিফিকেশন প্রসেস নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বা ওসি তৃণমূল পর্যায়ে যে গুজবগুলো ছড়ায় সেগুলোর জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের জানাবেন এটি গুজব অথবা গুজব নয়। গুজব না হলে সেখানে আমাদের কোনো ইন্টারভেশন থাকবে না। গুজব হলেই গণমাধ্যমকে জানাবো, যে এটি গুজব। আমাদের কাজ এখানে শেষ হবে।
 
তথ্য সরবরাহের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন বিভাগ এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হবে বলে জানান তারানা হালিম।
 
‘তথ্য পাওয়ার পর তার একটি তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিটিআরসিকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অর্থাৎ কনটেন্ট ব্লক, কনটেন্ট ফিল্টার করার জন্য পাঠাবো। ’   
 
তারানা হালিম বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। আশা করছি, এই মাসের মধ্যে কর্মকাণ্ড শুরু করে দেব।
 
সেলের জনবলকে প্রশিক্ষণ ও মনিটরিংয়ের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।  
 
তারানা হালিম বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া গুজব ছড়ানোর একটা কারখানা হয়ে যায়। প্রায় তিনশরও মতো পেজ (জামায়াত-বিএনপি) সক্রিয় আছে, তারা প্রতিনিয়ত কনটেন্ট ডেভলপ করে সরকারবিরোধী প্রচারণার জন্য। গুজবের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা প্রকৃত তথ্য সরবরাহ করবো। তবে তথ্য মন্ত্রণালয় কোনো কনটেন্ট ডেভলপ বা কোনকিছু প্রচার করবে না। সমালোচনার উত্তর দেওয়া এবং কে ট্রল করছে সেটা দেখা আমাদের কাজ নয়, আমাদের পুলিশিং কাজ নয়। আমরা শুধু গুজবটা শনাক্ত করতে চাই এবং সেটি সম্পর্কে জনগণকে দ্রুততার সঙ্গে জানাতে চাই।
 
তারানা হালিম বলেন, অনেক সময় অনলাইনের গুজবগুলো মানুষ বিশ্বাস করে। অনলাইনে বা ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে সমস্ত বিষয়গুলো ঘুরে বেড়ায় সেগুলো সোর্স হিসেবে ব্যবহার না করতে সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধপত্র পাঠানো হবে।  

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা এবং জননিরাপত্তা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, পুলিশ, আইসিটি বিভাগ, বিটিসিএল, বিটিআরসি, এটুআই, র‌্যাবের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।