প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে অনলাইন কেনাকাটা ও ব্যবসা। বিশ্ব অর্থনীতিতে ই-কমার্সের ব্যাপক প্রভাবের সাথে সাথে বাংলাদেশেও এর প্রসার ঘটছে।
এছাড়াও অনেক তরুনরাই এখন ই-কমার্সের মাধ্যমে নিজেদের উদ্যোগ এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে এক্ষেত্রে অনেকেই শুধু ঝোকের বসে ই-কমার্স ব্যবসায় নেমে পড়ছেন। এতে যেমন তারা সফলতার মুখ না দেখে হতাশায় পড়ছেন তেমনি যারা ইতিমধ্যে স্বচ্ছ উপায়ে এই সেক্টরে ব্যবসা করছেন তারাও অসুস্থ প্রতিযোগীতার মধ্যে পড়ছেন।
তাই তরুন উদ্যোক্তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে এবং তাদেরকে ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান ও ই-কমার্সে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য ই-ক্যাব তরুনদের জন্য গঠন করেছে ই-ক্যাব ইয়্যুথ ফোরাম।
রাজধানীর ফ্রেপড অডিটোরিয়াম শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ই-ক্যাব ইয়্যুথ ফোরামের উদ্ভোদনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাত। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে ইতিমধ্যেই এই খাতের বার্ষিক লেনদেন ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারলে আগামী ১০ বছরের মধ্যেই দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত হবে ই-কমার্স। সেখানে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে আজকের তরুণরাই। তাই তরুণদেরকে এখনই এই খাতে যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
ই-ক্যাব ইয়্যুথ ফোরামের সভাপতি আসিফ আহনাফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট সাখাওয়াত হোসেন মামুন এবং ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সভাপতি রাজিব আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের কার্যকরি পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, “ই-কমার্সে তরুণদের আগ্রহী করতে এবং সচেতনতা তৈরিতে জেসিআই ও ই-ক্যাব একসাথে কাজ করবে। এছাড়া ই-ক্যাব ইয়্যুথ ফোরামে যেকোনো তরুণ যোগ দিতে পারবেন, এতে কোনো মেম্বারশীপ ফি লাগবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬
এসজেডএম