ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

উদ্যোক্তা গড়ার কর্মসূচি আসছে ফেসবুকের

বাংলানিউজটিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫
উদ্যোক্তা গড়ার কর্মসূচি আসছে ফেসবুকের ছবি : দেলোয়ার হোসেন বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বিআইসিসি থেকে: ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক(ভারত) আঁখি দাস জানিয়েছেন, নতুন নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলার জন্য ফেসবুক কিছু কর্মসূচি নিয়ে আসছে। আমরা এ কর্মসূচি অচিরেই ঘোষণা করবো।


 
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫-এর শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ‘প্রোমোটিং ইন্টারনেট অ্যাকসেস অ্যান্ড ইকোনোমিক গ্রোথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ তথ্য দেন। ‘ফিউচার ইজ হেয়ার’ স্লোগানে চার দিনব্যাপী (৯-১২ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড চলছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।

আঁখি দাস বলেন, ফেসবুকের মূল কথা ‘কানেকটিং দ্য আনকানেকটেড পিপল’। আইসিটি মেলার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তার জন্য যথাযথভাবে রেভিনিউ শেয়ারিং করতে হবে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করার জন্য ফেসবুক কিছু কর্মসূচি নিয়ে আসছে। আমরা এ কর্মসূচি অচিরেই ঘোষণা করবো।

তিনি বলেন, কোনো একটি কোম্পানি সামগ্রিকভাবে ইন্টারেনট অ্যাকসেস করতে পারে না। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। ইন্টারনেটের মূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, বাঙালিরা অনেক আড্ডাবাজ। এখন ফেসবুকে সেই আড্ডা বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন তারা। তবে ফেসবুকে কেউ খারাপ কমেন্ট ও বাজে কিছু পোস্ট করলে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ধরতে সক্ষম। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সবাই নিরাপদে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মধ্যে ফেসবুকের ব্যবহার প্রসঙ্গে আঁখি দাস বলেন, গ্রাম পর্যায়ে সেইভাবে ফেসবুক অ্যাকসেস নেই। তাদের জন্য নানা ধরনের মোবাইল অ্যাপস তৈরিসহ সুলভমূল্যে ইন্টারনেট দিতে হবে।
 
সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ৬ বছর আগে ইন্টারনেটের দাম অনেকের নাগালের বাইরে ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমরা এটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে পেরেছি। সরকার ও বেসরকারি সহায়তায় বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে এক ধরনের বিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে।
 
পলক আরও বলেন, আগামীতে আমরা ৬৪ জেলার সকল উপজেলায় ইন্টারনেট সার্ভিস সেন্টার চালু করবো। তথ্য আদান-প্রদানের সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণে শেখ হাসিনার সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।  
 
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট শামিম আহসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আশরাফুল ইসলাম, গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকউটিভ অফিসার রাজিব শেঠি ও বাংলালিংকের উর্ধতন কর্মকর্তা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।