ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ভারত

ডিসেম্বরে ত্রিপুরায় জেঁকে বসবে শীত: পূর্বাভাস

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
ডিসেম্বরে ত্রিপুরায় জেঁকে বসবে শীত: পূর্বাভাস

আগরতলা(ত্রিপুরা):  প্রকৃতিতে এখন চলছে হেমন্ত ঋতু। বৃষ্টির ছুটি, তবে মাঝে মধ্যে নীল আকাশে সাদা খণ্ড খণ্ড মেঘ ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।

বছরের এ সময় থেকেই সূর্যের তেজও কমতে থাকে। হেমন্ত তার সঙ্গে কুয়াশা ও শীতের আমেজ নিয়ে আসে।

এখন সকাল সন্ধ্যা আগরতলাসহ গোটা ত্রিপুরা রাজ্যে জুড়ে হাল্কা শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা নামতেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকা। ক্রমাশ বাড়ছে কুয়াশার ঘনত্বও। উত্তরে কনকনে হাওয়া অনুভূতি বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের। সেই সঙ্গে একটু একটু করে নামছে তাপমাত্রার পারদ।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর পরিচালিত আগরতলা বিমানবন্দরস্থিত আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা নেহুল কুলকারনি আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য দিতে গিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে গত সপ্তাহ থেকে হাল্কা শীত অনুভূত হচ্ছে। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা গত ১৪ নভেম্বর রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন নভেম্বর মাসে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রীর সেলসিয়াস থাকছে। অক্টোবর মাসে এই তাপমাত্রা সামান্য বেশি ছিল। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরো নিচের দিকে নামবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে।

তবে এ সময়ে যে তাপমাত্রা রয়েছে তা স্বাভাবিক বললেও জানান তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে তা অল্প থেকে মাঝারি। তবে আগামী কিছুদিন পর আরও ঘন কুয়াশা পড়বে। সেই সঙ্গে রাজ্যের উপর দিয়ে শুষ্ক বাতাস প্রবাহিত হবে বলেও জানান তিনি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ডিসেম্বর মাসে আগরতলা রাজ্যে তীব্র কুয়াশা ও শীত জেঁকে বসবে। তখন তাপমাত্রার পারদ ১৪-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে আসবে। এছাড়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস আরও বলছে, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে তাপমাত্রার পারদ আরো নিচে নামার সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশ সময় ১৩৪৫ ঘন্টা, নভেম্বর, ২০২২।
এসসিএন/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।