ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

মন্ত্রীত্বের সঙ্গে সবই গেল পার্থ চ্যাটার্জির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
মন্ত্রীত্বের সঙ্গে সবই গেল পার্থ চ্যাটার্জির পার্থ চট্টোপাধ্যায় -ফাইল ছবি

কলকাতা: বুধবার (২৭ জুলাই) যা জল্পনা ছিল, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) তাই-ই হয়েছে। মন্ত্রীত্ব, দল, পদ সবকিছুই গেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পরিষদীয় এই তিন দফতরের মন্ত্রীর পদ থেকে বৃহস্পতিবার সরানো হয়েছে পার্থকে। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে এসব দফতরের দরজা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার নামফলকও।

এদিন দুপুরে নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। তার পরই রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিন দফতর থেকে সরিয়ে দিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার অধীনে থাকা দফতরগুলি আপাতত সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

পাশাপাশি এদিন সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিও। সেখান থেকেও দলের মহাসচিব এবং মুখপাত্রের পদ থেকে অপসারণ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পাশপাশি দলীয় সংবাদপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকসহ দলের সব পদ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। পরে সাংবাদ সম্মেলন করে দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগে গত শনিবার (২৩ জুলাই) কলকাতার ডায়মন্ড সিটি এবং বুধবার (২৭ জুলাই) রাতভর উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধার করে ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (ইডি)। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি রুপির কাছাকাছি। জানা যায়, ইডির জেরায় অর্পিতা স্বীকার করেছেন এসব টাকা পার্থ চট্টেপাধ্যায়ের কথাতেই ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছে। এ খবর চাউর হতেই মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিবের ভাগ্য প্রায় নির্ধারণ হয়ে যায়।

এদিন দুপুরে প্রথম পদক্ষেপটা নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করেন পার্থকে। তার দফতরগুলিকে নিজের হাতে রেখে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ইঙ্গিতও দেন। একই সঙ্গে বিকেলে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে পার্থর বহিষ্কার বা সাসপেন্ড (সাময়িক বহিষ্কার) হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে দলের সব পদ থেকে পার্থকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, মমতার সিদ্বান্তে এর আগে এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধান ছিলেন পার্থ। সেই কমিটিই আজ তাকে সাসপেন্ড করেছে।

গত শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে পার্থের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে ইডি। রাজ্যের আরও ১৪টি জায়গায় ওই একই দিনে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। পরদিন শনিবার সকালে গ্রেফতার হন পার্থ ও তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। দু’জনেই এই মুহূর্তে ইডির হেফাজতে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৮ জুলাই, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।