ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

স্বাবলম্বী যুবকের গল্প

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
স্বাবলম্বী যুবকের গল্প রণজিৎ বাকুড়া

কলকাতা থেকে ফিরে: ভারতের তরুণরা চাকরির চেয়ে ইদানীং বেশি পছন্দ করছে স্বনির্ভর হওয়াকে। ছোট ছোট ব্যবসা আর নতুন নতুন উদ্যোগে ঝুঁকছে তারা। কেউ বাবা-মা, কেউ আবার ব্যাংকসহ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে চেষ্টা করছেন স্বাবলম্বী হওয়ার।

তাদেরই একজন মেদিনীপুরের রণজিৎ বাকুড়া। বয়স হবে বড় জোর ২২-২৩ বছর।

চাকরি খোঁজায় খুব বেশি সময় ব্যয় না করে তিনি স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর শিখে ফেলেন মোটর গাড়ি চালানো। নিয়ে নেন লাইসেন্সও। তারপর লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন তরতর করে।   

ওপার বাংলার কলকাতার শ্যামবাজারেই কথা হয় রণজিৎ বাকুড়ার সঙ্গে। যেমন বিনয়ী তেমনি আবার আত্মবিশ্বাসী চোখ। কথাবার্তায়ও হাসিখুশি, চটপটে। পর্যটকরা আস্থার ঘরে ঢুকিয়ে নেন অনায়াসে, অল্প সময়ে।

রণজিৎ বাকুড়া ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত মেদিনীপুরেই পড়াশোনা করেন। তারপর ভাইয়ের সঙ্গে চলে আসেন কলকাতা। সেখানেই স্নাতক ডিগ্রি নেন। কিছুদিন সরকারি, বেসরকারি চাকরি খোঁজেন। সরকারি চাকরি তো সোনার হরিণ। বেসরকারি চাকরিতে যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যাশিত বেতন নেই। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরি করবেন না। নিজে কিছু করবেন।

বাবার কাছ থেকে ধার নিলেন তিন লাখ রুপি। সেই রুপি দেখিয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে গাড়ি কেনা বাবদ ঋণ নিলেন ৬ লাখ ৪০ হাজার রুপি। কিনে ফেললেন মারুতি সুজুকি আর্টিগা কার। তারপর আর পেছন ফিরে তাকানোর ফুরসত কই। ছুটে বেড়ান অলিগলি, রাজপথ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য, বেড়ানোর জন্য, ব্যবসার জন্য অনেকে কলকাতা তথা ভারতে আসছেন। এর মধ্যে অনেকে নিয়মিত আসেন। এ রকম নিয়মিত অতিথিদের অনেকেই আমাকে খুব পছন্দ করেন। বাংলাদেশ থেকেই টেলিফোনে তিন দিন, পাঁচ দিনের বুকিং দিয়ে রাখেন। আমার কাছে এটি একধরনের সেবা।  

রণজিৎ বললেন, এখন আমার মাসে ৮০ হাজার রুপি আয়। ব্যাংক ঋণের কিস্তি দিই ২০ হাজার, বাবার ঋণ শোধ করি ১০ হাজার, গাড়ির পেছনে ব্যয় হয় ১০ হাজার রুপি। বাকি ৪০ হাজার থেকে মাকে দিই ১০ হাজার, ব্যাংকে সঞ্চয় করি ১০ হাজার এবং নিজে খরচ করি ২০ হাজার। সব মিলে আমি খুশি। সবচেয়ে বড় কথা, চাকরিজীবন ও স্বাধীন জীবনের তফাৎটা এনজয় করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭

টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।