ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

কলকাতায় নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ভেঙে পড়ে নিহত ২

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
কলকাতায় নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ভেঙে পড়ে নিহত ২

কলকাতা: কলকাতা শহরে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে ২ জন নিহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত রাতে কলকাতার মুসলিম অধ্যুষিত গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ভেঙে পড়ে এক ঝুপড়ি উপর পরলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় নিহত দুই জন হলেন  সাম বেগম(৪৭) এবং হাসিনা খাতুন(৫৫)। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। ওই ঝুপড়িতে আরও ৬ জন আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে। মৃত এবং আহত সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চলছে উদ্ধার কাজ।

গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অসুস্থ শরীরে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সকলের রোজা করে আছে, তাও সারারাত এলাকার মানুষ উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর, দমকল, পুলিশ, কাউন্সিলররা সারারাত ধরে কাজ করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, বিল্ডিংয়ের নিচে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাদের নতুন করে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। এই নির্মাণকাজ কিভাবে হচ্ছিল, কোন আইনি বৈধতা হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখা হবে। আহত এবং নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ওই নির্মীয়মান বাড়ির প্রোমোটারকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে গার্ডেনরিচ থানার অন্তর্গত ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বহুতল নির্মাণের কাজ চলছিল। মধ্যরাতে বিকট শব্দ করে সেটি পাশের একটি টালির বাড়ির উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তাতেই মৃত ও অসুস্থ হন অনেকে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ চলছে।

ধ্বংসস্তূপের ভিতর এখনও ছ’জন আটকে রয়েছেন। এমনটাই জানানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের তরফে। তবে সেই ছ’জনের মধ্যে একজনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বাকিদের থেকে কোনও সাড়া পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। ফলে তারা কী অবস্থায় আছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। আতঙ্কের প্রহর কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ।

ইতিমধ্যে কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাদিম এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভোটের ভারতে এই নিও রাজনীতি শুরু হয়েছে। মেয়র বলেছে, এগুলো সব বাম আমলের কাজ। তাই এই দুর্দশা। অপরদিকে বামেদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভবনটি নির্মাণ হচ্ছিল বর্তমান শাসকের আমলে। দশ বছরের উপরে তারা রাজ্যের ক্ষমতায় আছে। বাম আমলে যদি বেআইনি অনুমতি দেয়া হয়ে থাকে তাহলে এতদিন তারা কি করছিলেন? নিজেদের দোষ ঢাকতে এখন পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতে চাইছেন মেয়রে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ ২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।