ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শিশু বিশেষজ্ঞ নেই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
শিশু বিশেষজ্ঞ নেই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে  হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: দিন যত যাচ্ছে শীতের প্রকোপ বাড়ছে বাগেরহাটে। আর প্রবল শীতে শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। 

গেল দুই দিনে (বৃহস্পতিবার-শুক্রবার) প্রায় ২ শতাধিক শ্বাসকষ্টের রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন জেলার প্রধান এ চিকিৎসালয়ে। এ সংখ্যা গেল কয়েকদিনের তুলনায় অনেক বেশি।

এদিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু রোগীর স্বজনরা। সদর হাসপাতালে এসে শিশু বিশেষজ্ঞ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ফিরে গিয়ে ভর্তি হচ্ছেন বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিকে। যাদের ক্লিনিকের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার সামর্থ্য নেই তারা সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করে পড়ে থাকছেন সদর হাসপাতালে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সদর হাসপাতালে অসুস্থ শিশুর মা সুমি বেগম বলেন, আমার সন্তানের সর্দি হয়েছে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তাই হাসপাতালে নিয়ে এলাম, এখানে আসার পরে জানলাম হাসপাতালে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তাই চলে যাচ্ছি। তবে কোথায় যেয়ে চিকিৎসা করাবো তা জানিনা। কারণ এর আগে আলীয়া মাদরাসা রোডস্থ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গেছিলাম সেখানেও চিকিৎসক নেই।

আরও কয়েকজন শিশু রোগীর স্বজনকেও এভাবে হতাশ হয়ে চলে যেতে দেখা যায়। জেলার প্রধান এই হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। শুধু শিশু বিশেষজ্ঞ নয় অনেক চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে বাগেরহাটের গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটিতে।

হরিণখানা এলাকার রুস্তম তালুকদার বলেন, ঠাণ্ডায় জ্বর, সর্দি ও কাশি হয়েছে। গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ খেয়েছি, তারপরও কমেনি। তাই হাসপাতালে এসেছি।

শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কাওছার মল্লিক বলেন, প্রচুর ঠাণ্ডা লাগায় কাজও করতে পারছিনা, শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. পুলক দেবনাথ বলেন, শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় এসব রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও যারা আসছেন স্থানীয়ভাবে আমরা তাদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।