ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, চাপ হাসপাতালে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৭
শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, চাপ হাসপাতালে একেকটি বেডে গড়ে ৩/৪ জন শিশু রোগীকে গাদাগাদি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে ঠাণ্ডা, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। বাসা-বাড়ির পাশাপাশি হাসপাতালে রেখেও চিকিৎসা করাতে হচ্ছে আক্রান্তদের আতঙ্কিত অভিভাবকদের।

শনিবার (০৪ নভেম্বর) সকাল আটটায় ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে গিয়ে নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগীদের প্রচণ্ড চাপ দেখা গেছে। শিশু ওয়ার্ডের ২০টি বেডে বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬২ জন, নবজাতক ওয়ার্ডে আছে আরও ১৭ জন।

একেকটি বেডে গড়ে ৩/৪ জন শিশু রোগীকে গাদাগাদি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতেও রয়েছেন শিশু রোগীর পাশাপাশি অভিভাবক ও স্বজনেরা।

ধারণ ক্ষমতার চারগুণ বেশি রোগী থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

কর্তব্যরত নার্সেরা জানান, রোগীর তুলনায় বেড কম থাকায় প্রতিটিতে ৩/৪ জন শিশু রোগীকে রাখতে হচ্ছে। শিশুদের অধিকাংশই নিউমোনিয়া ও অন্য শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।

চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সেরা।   ছবি: বাংলানিউজদৌলতখানের নুর মিয়া হাট থেকে আসা শিশু রোগীর বাবা হারুন বলেন,  ‘এ বেডে ৪ জন রোগী। শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) রাতে ভর্তির পর সব ওষুধ বাইরে থেকে এনেছি। হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি’।

অন্য এক রোগীর স্বজন রুমা বেগম বলেন,  ‘চারদিন আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন পর্যন্ত অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি’।

ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে নিউমোনিয়া আক্রান্ত নবজাতক ফারিয়াকে। এক সপ্তাহ আগে ভর্তি শিশুটিকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।

ফারিয়ার মা জানান, চিকিৎসাসেবা পেলেও ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।

লালমোহন থেকে আসা রোগীর স্বজন রোকেয়া বলেন,  শিশুর নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন একটু সুস্থ, কিন্তু গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে।

শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স চম্পা রানী বলেন, ‘রোগী বেশি থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবুও আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি’।

ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবদুল কাদের বলেন, ‘শীতের আগে-পরে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তবে দু’দিন আগে রোগীর অনেক চাপ থাকলেও এখন কিছুটা কম। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি’।  

‘তবে হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকসহ কিছু ওষুধ না থাকায় সেগুলো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।