ঢাকা, শুক্রবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে দক্ষ ফার্মাসিস্ট তৈরির বিকল্প নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৪, অক্টোবর ১৭, ২০২৫
স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে দক্ষ ফার্মাসিস্ট তৈরির বিকল্প নেই

ঢাকা: বিদেশে ওষুধ শিল্পে কাজ করে ৫ শতাংশ ফার্মাসিস্ট এবং হাসপাতাল ও কমিউনিটি ফার্মেসিতে কাজ করে ৯৫ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশে সরাসরি স্বাস্থ্য খাতে ফার্মাসিস্টদের অবদান রাখার সুযোগ কম।

দেশে প্রায় দুই লাখ ওষুধের দোকান আছে। যেগুলোকে মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তরিত করতে হলে চার লাখ ফার্মাসিস্ট প্রয়োজন। এ জন্য সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দক্ষ ফার্মাসিস্ট তৈরির বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি. ফার্ম কোর্সের অভিস্বীকৃতি (অ্যাক্রেডিটেশন) ও শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা যথাযথ প্রতিপালনের বিষয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

কাউন্সিলের সভাপতি ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কাউন্সিল অভিস্বীকৃত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধি (সদস্য), উপাচার্য এবং ফার্মেসি বিভাগের প্রধানরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে কাউন্সিলের সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, ফার্মেসি কাউন্সিল ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে দুটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছে। এসব সভা থেকে প্রাপ্ত পরামর্শগুলো পরবর্তীতে অ্যাক্রেডিটেশন ও এডুকেশন কমিটিতে উপস্থাপন করে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো কাউন্সিলের সাধারণ সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন ও এডুকেশন কমিটির সভাপতি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, বিদেশে ওষুধ শিল্পে কাজ করে ৫ শতাংশ ফার্মাসিস্ট এবং হাসপাতাল ও কমিউনিটি ফার্মেসিতে কাজ করে ৯৫ শতাংশ ফার্মাসিস্ট। কিন্তু বাংলাদেশে সরাসরি স্বাস্থ্য খাতে ফার্মাসিস্টদের অবদান রাখার সুযোগ কম।  

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফার্মেসি শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য ফার্মেসি কাউন্সিল সিলেবাস প্রণয়ন, ল্যাবরেটরির স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ, আসন সংখ্যা নির্ধারণ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান রাখার মাধ্যমে চমকপ্রদ কাজ করে চলছে।  

কাউন্সিলের সহ-সভাপতি চৌধুরী মাহমুদ হাসান বলেন, ফার্মেসি শিক্ষার একটি সুনির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা দরকার। এজন্য সর্বজনীন ফার্মেসি সিলেবাস প্রণয়নের জন্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশীদের নেতৃত্বে সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিলেবাসের খসড়া তৈরির পর প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তা প্রেরণ করে মতামত নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান বলেন, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের মতো বিসিএস ফার্মেসি ক্যাডারও চালু করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সরকার ফার্মাসিস্টদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পদ সৃজন করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি করা হবে।  

এসএমএকে/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।