ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

সুযোগ থাকলে আমিই প্রথম টাইফয়েডের টিকা নিতাম: ডা. বিধান রঞ্জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫৫, অক্টোবর ১২, ২০২৫
সুযোগ থাকলে আমিই প্রথম টাইফয়েডের টিকা নিতাম: ডা. বিধান রঞ্জন টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

যদি আজকে সুযোগ থাকতো তাহলে নিঃসন্দেহে আমিই প্রথম টাইফয়েডের টিকা নিতাম বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, কোভিডের সময়ে আমি ঢাকার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের দায়িত্বে ছিলাম। আমাদের  ইনস্টিটিউটে একটি কোভিড টিকাদান কেন্দ্র ছিল। তখন কোভিডের টিকা খুব দ্রুত ডেভেলপ করা হয়, অনেকের মনে ভয় ছিল এ টিকা নিলে কি না কি হয়। তখন আমাদের টিকা কেন্দ্রে আমি প্রথম টিকা নিয়ে উদ্বোধন করেছি। আজকে যদি সুযোগ থাকতো তাহলে নিঃসন্দেহে আমিই প্রথম টিকা নিতাম। আশা করি টিকা নিয়ে আর কোনো ভয় থাকবে না।

তিনি বলেন, টাইফয়েড সমন্ধে আমাদের একটু ধারণা থাকা দরকার। টাইফয়েড একটু জীবাণু বাহিত রোগ। টাইফয়েড রোগের বিস্তার ঘটে খাবার এবং পানির মাধ্যমে। ফলে এ রোগ প্রতিরোধ করা অনেক সহজ। আমরা যদি সতর্ক থাকি, হাত ধুয়ে খাবার খাই, তাহলে বেশির ভাগ টাইফয়েড এড়ানো সম্ভব। তাই তোমরা হাত ধুয়ে খাবার অভ্যাস করে নেবে। খাবারটা টাটকা কি না, এভাবে চললে আমরা টাইফয়েড থেকে মুক্তি পেতে পারি।

উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, আমাদের দেশে টাইফয়েডের প্রকোপ বেশি এবং এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল। তাছাড়া ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক অ্যান্টিবায়োটিকও কার্যকর হয় না। এর ফলে আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেক শিশু মারা যায়। তাই আমাদের খাদ্য গ্রহণে সতর্কতা, নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং টিকা গ্রহণে গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরও বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন এর ব্যাপক প্রচার করতে হবে, যাতে অন্যান্য শিশুরাও টিকা গ্রহণে আগ্রহী হয়।

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবের হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড সুধীর যোশী, ইউনিসেফ, বাংলাদেশের চিফ অব হেলথ চন্দ্রশেখর সোলায়মান।

এরপর তিনি ধানমন্ডির লেক সার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এক মাসব্যাপী এ কর্মসূচিতে নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু এবং প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমান সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।