বিরতির আগে ছিল সমানতালে লড়াই, কিন্তু বিরতির পর যেন একেবারে অন্য রূপে দেখা দিল আর্সেনাল। ১৩ মিনিটের দুর্দান্ত ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল আতলেতিকো মাদ্রিদের রক্ষণভাগ।
মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে আতলেতিকোকে ৪–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। পরিসংখ্যানে গোলের পাশাপাশি সব দিক দিয়েই এগিয়ে ছিল তারা। পুরো ম্যাচে ৫১ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে আর্সেনাল নিয়েছে ১৯টি শট, যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে আতলেতিকোর ১১ শটের মাত্র একটি টার্গেটে ছিল।
খেলার শুরু থেকেই আর্সেনালের আক্রমণাত্মক মেজাজ স্পষ্ট ছিল। পঞ্চম মিনিটে এবেরেচি এজের শট একজনের গায়ে লেগে ক্রসবার ছুঁয়ে ফেরে। ফিরতি বলে ডেক্লান রাইসের শটও ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ২৫তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে গিয়ে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রায় বিপদ ডেকে আনেন গোলরক্ষক দাভিদ রায়া, তবে জুলিয়ানো সিমিওনের বাঁকানো শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে বেঁচে যায় আর্সেনাল।
৩৬তম মিনিটে বুকায়ো সাকার নিখুঁত ক্রসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান মার্তিনেল্লি, কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোল বাতিল হয়। বিরতির আগে দুদলই সুযোগ পেলেও গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে নামতেই খেলার গতি পাল্টে যায়। ৫০তম মিনিটে আতলেতিকোর হুলিয়ান আলভারেসের দারুণ শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ঠিক সাত মিনিট পর আর্সেনাল পায় কাঙ্ক্ষিত গোল। রাইসের ফ্রি কিকে হেড করে জালের দেখা পান ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস।
৬৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। মাইলস লুইস-স্কেলির পাস ধরে প্রথম স্পর্শেই নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল পাঠান জালে। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আতলেতিকোকে আরও চাপে ফেলে জোড়া গোল করেন ভিক্তর ইয়োকেরেস।
৬৭তম মিনিটে এজের শট প্রতিহত হলে বল পান ইয়োকেরেস, ডিফেন্ডারের চাপ সামলে নির্ভুল শটে গোল করেন তিনি। এটি ছিল সেপ্টেম্বরের পর ক্লাবের হয়ে তার প্রথম গোল। তিন মিনিট পর কর্নার থেকে মাগালিয়াইসের হেড গোলমুখে প্রতিহত করতে গিয়ে ডিফেন্ডারের সঙ্গে লড়াই করে শরীর দিয়ে বল জালে ঠেলে দেন ইয়োকেরেস, দলকে এনে দেন চতুর্থ গোল।
আর্সেনালের আক্রমণের তেজে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়তে পারেনি আতলেতিকো। টানা তৃতীয় জয় পেয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তৃতীয় স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। গোল পার্থক্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে আগের আসরের দুই ফাইনালিস্ট পিএসজি ও ইন্টার মিলান। তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হারের পর ১৮ নম্বরে নেমে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
আরইউ