বর্ধিত সংস্করণে ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে ফুটবল দুনিয়ায় চলছে বিতর্ক। ফুটবলারদের শারীরিক ও মানসিক ধকলের প্রসঙ্গ তুলে ইতোমধ্যে মুখ খুলেছেন অনেকে।
আগামী মৌসুম শুরুর আগেই ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের সমালোচনা করে আসছেন অনেকেই। এই তালিকায় ছিলেন ইয়ুর্গেন ক্লপও। তবে গার্দিওলার দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা ভিন্ন। একদিকে যেমন তিনি ফুটবলারদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন, অন্যদিকে টুর্নামেন্টের ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন।
গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা টুর্নামেন্ট শেষে আরও ভালো করে বুঝতে পারব এর প্রভাব। হয়তো নভেম্বরে, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে দেখা যাবে বিপর্যয় নেমে এসেছে চোটের কারণে। ক্লান্তি বা অবসাদ ফুটবলারদের নাজেহাল করে দেবে। আবার এমনও হতে পারে, আমরা ভালোভাবেই সামলে উঠব। এখনও নিশ্চিত না আমি, কারণ এই প্রতিযোগিতা আমরা প্রথমবার খেলছি। ’
তবে মানসিক অবসাদ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ফুটবলারদের অভিজ্ঞতার দিকটি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘আগেও তো ফুটবলাররা মৌসুম শেষে বিশ্বকাপ, ইউরো বা কোপা আমেরিকা খেলেছে। এটা নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝে মানসিক বিশ্রামই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা মিললে মাঠে ফিরে নতুন করে শুরু করা যায়। ’
লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ নতুন ক্লাব বিশ্বকাপকে বলেছেন, ‘ফুটবলের সবচেয়ে বাজে আইডিয়া। ’ তার এই বক্তব্য একেবারে উড়িয়ে দেননি গার্দিওলা, বরং দিয়েছেন শ্রদ্ধা। তবে খোঁচাও দিতে ভোলেননি, ‘আমি ইয়ুর্গেনকে ভালোভাবেই জানি, বুঝি কোথা থেকে তার মন্তব্য এসেছে। তবে এখানে যারা খেলতে পারেনি, তারাই বেশি সমালোচনা করছে। তারা যদি এই আসরে খেলত, তাহলে খুশি হতো। তাদের মিডিয়া, সমর্থকরা থাকত, দল পেত অর্থ, আর তখন তারা কিছু বলত না। ’
ম্যানসিটির সফল কোচ স্বীকার করেন, টানা ক্লাব মৌসুম শেষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও প্রস্তুতি তারও কাম্য। তবে বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই তিনি সামনে এগোতে চান, ‘অবশ্যই আমি চাই মৌসুমের আগে দুই মাসের প্রস্তুতির সুযোগ থাকুক। তরতাজা দল নিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করতে চাই। কিন্তু যখন এই টুর্নামেন্টে এসেছি, তখন আমাদের দায়িত্ব হলো সেরা ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করা। ধারাবাহিক সাফল্য এনে আমাদের এখানে জায়গা করে নিতে হয়েছে। এখন এটাই বাস্তবতা। ’
আরইউ