ক্লাব বিশ্বকাপের অভিষেক মৌসুমেই চমক দেখাচ্ছে ইন্টার মায়ামি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পোর্তোর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে মেজর সকার লিগের ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। পঞ্চম মিনিটেই গোল হজম করে বসে মায়ামি। নিজেদের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের জোয়াও মারিওকে ফাউল করেন মায়ামির ডিফেন্ডার অ্যালেন। ভিএআরের সাহায্যে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন এবং তা থেকেই পর্তুগিজ ক্লাবকে এগিয়ে দেন সামু ওমোরদিওন।
গোল হজমের পরও প্রথমার্ধে কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে মায়ামি। দুটি সুযোগই আসে লিওনেল মেসির পা থেকে। প্রথমটিতে তার ক্রসে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন লুইস সুয়ারেস, যদিও তিনি তখন অফসাইডে ছিলেন। আর দ্বিতীয়বার দুর্দান্ত থ্রু পাসে গোলরক্ষকের সঙ্গে একাই লড়াই করেন সুয়ারেস, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান ক্লাওদিও রামোস।
এরই মধ্যে আবারও ভয় ধরায় পোর্তো। আলান ভারেলার দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, না হলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়ে যেত।
বিরতির পর মাঠে নেমে খেলায় গতি বাড়ায় ইন্টার মায়ামি। ৪৭তম মিনিটেই ম্যাচে সমতা ফেরান সেগোভিয়া। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে পাওয়া বল এক ছোঁয়ায় জোরালো শটে জালে পাঠিয়ে দেন তিনি।
আর ৫৪তম মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত, যার অপেক্ষায় ছিল পুরো স্টেডিয়াম। ডি-বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন লিওনেল মেসি। এরপর তার নেওয়া দুর্দান্ত ফ্রি কিক গিয়ে জড়িয়ে পড়ে গোলবারের ডানদিকের ওপরের কোণে। দারুণ এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় মায়ামির। তবে শেষ দিকে বেশ কয়েকবার আক্রমণে যায় পোর্তো। একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি তারা।
এই জয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইন্টার মায়ামি। সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে আছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস। অন্যদিকে, একটি করে ড্র ও হারে ১ পয়েন্ট নিয়ে পোর্তো আছে তিনে এবং গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা আল আহলি চারে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার সকালে পালমেইরাসের মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। একই সময়ে পোর্তো খেলবে আল আহলির বিপক্ষে। ঐ ম্যাচ দুটিই নির্ধারণ করে দেবে কারা উঠবে প্রতিযোগিতার নকআউট পর্বে।
আরইউ