ঢাকা, সোমবার, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বনবিভাগের অভিযানে শিকারি পাখি উদ্ধার, অসংখ্য ফাঁদ জব্দ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
বনবিভাগের অভিযানে শিকারি পাখি উদ্ধার, অসংখ্য ফাঁদ জব্দ উদ্ধারকৃত ৬টি পাখিসহ জব্দ বিভিন্ন প্রকারের ফাঁদ। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের আওতাধীন শ্রীমঙ্গলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অভিযানে ৬টি পাখি উদ্ধার করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয়েছে অসংখ্য ফাঁদ।

শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার লামুয়া গ্রামের পাখি শিকারি হারিস আলীর বাড়ি থেকে এগুলো জব্দ করা হয়। তবে দীর্ঘদিন থেকে পাখি শিকার ও পাচারের সঙ্গে জড়িত হারিসকে আটক করতে পারেনি বনবিভাগ।  

বনবিভাগ সূত্র জানায়, বন বিভাগের পক্ষে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার মিত্র এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৯ ডিএডি গোলাম সারোয়ার। এ সময় মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ, শ্রীমঙ্গল এর রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, র‌্যাব-৯ এর সদস্যসহ বনবিভাগের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের এসিএফ শ্যামল কুমার মিত্র বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গ্রামের পাখি শিকারি হারিসের বাড়ি থেকে দু’টি শিকারি কোড়া (Weatercock), তিনটি তিলা ঘুঘু (Spotted Dove) এবং একটি শিকারের কাজে ব্যবহৃত একটি বনমোরগ (Junglefowl) উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও পাখি ধরার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ, পাখি আটকে রাখার বাঁশের খাঁচা প্রভৃতি জব্দ করা হয়েছে।

উদ্ধার পাখিগুলোকে জানকিছড়া ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ সেন্টারের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। উদ্ধার পাখিগুলো শীঘ্রই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান এসিএফ শ্যামল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
বিবিবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।