বিভিন্ন কাজের প্রবল চাপ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজে হিমালয়ে গিয়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত। তীর্থ যাত্রার ফাঁকে কখনও তিনি গঙ্গার ধারে ধ্যানে মগ্ন, কখনও আবার পথের ধারে পাথরের ওপর পাতা পেড়ে সাধারণ মানুষের মতোই সারছেন আহার।
দক্ষিণী সুপারস্টারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানান, সম্প্রতি রজনীকান্ত হৃষীকেশের স্বামী দয়ানন্দ আশ্রমে যান এবং সেখানে স্বামী দয়ানন্দকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
শোনা যাচ্ছে, আশ্রমে থাকাকালীন তিনি গঙ্গার তীরে ধ্যানও করেন এবং সন্ধ্যায় গঙ্গা আরতিতেও অংশ নেন।
হৃষীকেশের পর প্রবীণ অভিনেতা দ্বারাহাটেও গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
তার এই তীর্থযাত্রার বেশ কিছু ছবি ইতোমধ্যেই ভক্তদের মধ্যে প্রবল সাড়া ফেলেছে।
একটি ছবিতে দেখা গেছে, তিনি সাদা পোশাকে পথের ধারে একটি পাথরের ওপর পাতা বা ‘পাত্তালে' রেখে খাবার খাচ্ছেন। তাও কোনো রাজভোগ নয়, নিতান্ত সাধারণ দোসা এবং সাম্বার। পেছনে মনোরম পাহাড়ি পরিবেশ এবং একটি গাড়িও দেখা যাচ্ছে। আরেকটি ছবিতে তাকে আশ্রমের কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
আরেকটি ছবিতে এক পুরোহিতের পাশে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতেও দেখা গেছে সুপারস্টারকে। যারা দীর্ঘদিন রজনীকান্তের কাছের লোক তাদের দাবি, এটা কোনো প্রচারমূলক কাজ নয়। ব্যক্তিগত জীবনে এমনই মাটির মানুষ পর্দার এই জেলার। তাই সাধারণ পোশাকে সাধারণ মানুষের মতো চলাফেরা করা তার কাছে নতুন কিছু নয়।
মূলত আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজেই স্বামী দয়ানন্দ আশ্রমে যান সুপারস্টার রজনীকান্ত। সেখানে তিনি স্বামী দয়ানন্দকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে গঙ্গাতীরে ধ্যান করেন। ছবিতে প্রশান্ত হাসিমাখা মুখে খ্যাতির কোনো দম্ভ ছিল না বরং, ছিল শান্তিপূর্ণ এক হাস্যোজ্জ্বল মুখ।
অন্যদিকে ৭৪ পেরিয়েও, কাজের ক্ষেত্রে এখনও কোনো অবহেলা নেই থালাইভার। রজনীকান্তকে কিছুদিন আগে লোকেশ কানাগরাজের ছবি ‘কুলিতে’ দেখা গিয়েছিল। ছবিটিতে রজনীকান্ত ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন নাগার্জুন এবং শ্রুতি হাসান। যা গত ১৪ অগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে ছিলেন আমির খান।
সূত্র: এনডিটিভি
এএটি