ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

১ শতাংশ ভোট কর্মকর্তার হাতে, প্রয়োজনে বাড়বে ভোটের দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
১ শতাংশ ভোট কর্মকর্তার হাতে, প্রয়োজনে বাড়বে ভোটের দিন

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের পুরো ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এক্ষেত্রে  ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার হাতে থাকবে এক শতাংশ ভোট। প্রয়োজনে ভোটের এই হার নির্বাচনের দিন বাড়িয়ে দিতে পারবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত ইভিএম প্রদর্শনীতে এসব তথ্য জানান সংশ্লিষ্টরা। ইভিএম কীভাবে কাজ করে তা সাংবাদিকদের দেখানোর জন্য এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে ইভিএম প্রকল্প।

 

প্রদর্শনীতে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন, আইটি ইনচার্জ মেজর মো. মাজহারুল ইসলাম, আইটি সিস্টেম কনসালট্যান্ট এএইচএম আবদুর রহিম খান, মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার ফারজানা আখতারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

প্রদর্শনীতে প্রশ্নোত্তর পর্বে কতো শতাংশ ভোট সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার হাতে থাকবে, এ ব্যাপারে জানতে চান সাংবাদিকরা। এর জবাবে এএইচএম আবদুর রহিম খান বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে এক শতাংশ ভোট সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার হাতে থাকবে। ভোটের দিন প্রয়োজন হলে এই হার বাড়াতে পারবেন সিইসি। এক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে তিনি একটি কোড পাঠাবেন।

ইভিএমে ভোট দিতে হলে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ মিলতে হয়। তা না হলে যন্ত্রটির কন্ট্রোল ইউনিট খোলে না। বিভিন্ন কারণে অনেক ভোটারেরই আঙ্গুলের ছাপ মুছে যায়। তাই যাদের আঙ্গুলের ছাপ মিলবে না, তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখার জন্য সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার হাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটের কন্ট্রোল ইউনিট খোলার ক্ষমতা দেওয়া থাকে।  

জাতীয় নির্বাচনে এই হার ছিল ২৫ শতাংশ। ঢাকা সিটি নির্বাচনে তা কেন এক শতাংশ করা হলো, বা কীসের ভিত্তিতে এই হার নির্ধারণ করা হয়, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহিম খান বলেন, আমাদের সার্ভারে ঢাকার যতো ভোটার আছে, তাদের আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করে দেখা গেছে, এক শতাংশ ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ অস্পষ্ট। সেভাবেই এটা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোটের দিন যদি দেখা যায়, এর চেয়ে বেশি সংখ্যক ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ মিলছে না, তখন কেবল সিইসি এটা বাড়াতে পারবেন।

ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট খুলতে ভোটারের আঙ্গুলের ছাপের প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু ব্যালট অংশে বোতাম চেপে ভোট প্রদান সম্পন্ন করতে হয়, সেখানে আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। এতে ব্যালট ইউনিট ওপেন করার পর ভোটারকে বের করে দিয়ে অন্য কারো ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে যায় কিনা জানতে চাইলে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন কোনো জবাব দিতে পারেননি। তবে আবদুর রহিম খান বলেন, এটা তো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে।

আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ব্যালট ইউনিট খোলার ব্যবস্থা না রাখায় ইভিএমের নিরাপত্তা কি শতাভাগ নিশ্চিত করা গেল, এমন প্রশ্ন করা হলেও কর্মকর্তাদের কেউ কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

এছাড়া সাংবাদিকদের অন্যান্য প্রশ্নের জবাবে ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, ইভিএমে একটি কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট ও মনিটর থাকে। এই যন্ত্রের প্রোগ্রামিং অনেক আগেই করা হয় এবং কোন কেন্দ্রে কোন ইভিএম যাবে, সেটা কেউ জানে না। সুতরাং আগে থেকেই কোনো নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রের জন্য প্রোগ্রামিং পবির্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এটি বাংলাদেশেই তৈরি। মেয়াদ ১০ বছর। প্রতিটি মেশিন তৈরির জন্য ২ লাখ ৬ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে।

আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯ 
ইইউডি/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।