ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় সেনা মোতায়েনের সুপারিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় সেনা মোতায়েনের সুপারিশ নির্বাচন কমিশনে ইসলামী ঐক্যজোট প্রতিনিধি দল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় নয়, প্রয়োজন মূল্যায়নের পর কেবল স্পর্শকাতর এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সুপারিশ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট। একই সঙ্গে দলটি রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে দূরে রাখার কথাও বলেছে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন সুপারিশ করে ইসলামী ঐক্যজোট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।



সংলাপ শেষে আবদুল লতিফ নেজামী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সময় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনী এলাকাগুলোর প্রয়োজন মূল্যায়ন করে কেবল স্পর্শকাতর এলাকাগুলোয় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আমরা মনে করি, ঢালাওভাবে সেনা মোতায়েন প্রয়োজন নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সেটা ঠিক করবে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই এ নিয়ে আমরা কোনো প্রস্তাব রাখিনি।

দলটির লিখিত সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- অনৈতিকভাবে ভোটে জেতার প্রয়াসকে প্রতিহত করা; পোলিং এজেন্টদের নির্ভয়ে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ; প্রতিটি কেন্দ্রের নির্বাচনী ফলাফল জনসমক্ষে ঘোষণা করা এবং প্রত্যেক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক ইস্যু; ইসির উদ্যোগে সকল প্রর্থীর নাম, দল ও প্রতীকের উল্লেখ সম্বলিত অভিন্ন পোস্টারের ব্যবস্থা করা; সকল প্রকার রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও অহেতুক আঞ্চলিক অফিস স্থাপন বন্ধ করা; নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারকে রুটিন ওয়ার্কে সীমাবদ্ধ রাখা; নির্বাচনী অভিযোগ তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে একটি পৃথক বেঞ্চ গঠন।

এছাড়া কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রবাবমুক্ত নির্বাচনে জন্য প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, নৈতিক স্থলনের অভিযোগে দণ্ডিত ব্যক্তিদের (দুই বছর পর) নির্বাচনে অযোগ্য করা; যে সকল দল ৩০ (ত্রিশ) এর অধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, সে দলগুলোকে বেতার ও বিটিভিসহ সরকারি প্রচার মাধ্যমে প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার সুপারিশও করেছে ইসলামী ঐক্যজোট।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।
 
আগামী ১৫ অক্টোবর বিএনপি (ধানের শীষ) এবং ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী এই কর্তৃপক্ষ।
 
এবারের সংলাপ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪  অক্টোবর। এক্ষেত্রে ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীদের সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
ইইউডি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।