ঢাকা, বুধবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩২, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

নারীদের পৃথক ৩০০ আসন ও সরাসরি নির্বাচনের পরামর্শ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫০, অক্টোবর ৭, ২০২৫
নারীদের পৃথক ৩০০ আসন ও সরাসরি নির্বাচনের পরামর্শ

জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে ৬০০-তে উন্নীত করার এবং নারীদের জন্য ৩০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের পরামর্শ দিলেন নারী নেত্রীরা। একই সঙ্গে ভোটে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংলাপে তারা এমন পরামর্শ দেন।

বেসরকারি সংস্থা ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবীর বলেন, যে পদ্ধতিই হোক না কেন নারীদের সরাসরি নির্বাচন অবশ্যই চাচ্ছি। আবার ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল ইলেকশন যেন হয়। এই নির্বাচনে নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হলে তারা সংসদে ভূমিকা রাখতে পারবেন। ‘মব ভায়োলেন্স কালচার’ নারীদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নেতিবাচক দিক হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী ডা. ফাওজিয়া মোসলেম বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নারীবিদ্বেষী, সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী—এই তিনটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে। প্রার্থীদের মানবিক গুণ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে মব ভায়োলেন্স ও নারী নির্যাতন হয়, সেসব এলাকার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখলে নারীরা নিরাপদ বোধ করবেন। নির্বাচন ‘জেন্ডার ফ্রেন্ডলি’ করতে হলে যে স্টেকহোল্ডার আছেন তাদের মানসিকতাকে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হবে।

নারী নেত্রী শিরিন হক বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সংসদে আসন বৃদ্ধি হয়নি। সেখানে আমরা বলেছি ৩০০ আসনের পরিবর্তে ৬০০ আসন করতে হবে। একটি নির্বাচনের আসনে দু’টি আসন থাকবে। যেখানে একটিতে শুধু নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আরেকটিতে নারী-পুরুষ যে কেউ করতে পারবেন। পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি সমর্থন করি।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন যাতে হয়, সেটা আমরা চাই। নারী প্রার্থীরা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়। তাদের বিরুদ্ধে এমনভাবে প্রচার-প্রচারণা করা হয়, নারীবিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা করা হয়। এবারও আমরা এমন শঙ্কা করছি এবং নারী যারা ভোটার তারা অনেক ধরনের হুমকির মুখে থাকেন। এ জায়গায়গুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে বড় ধরনের প্রত্যাশা থাকবে।

উইমেন ডেভেলমমেন্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মিষ্টি আশরাফুন নাহার বলেন, প্রতিবন্ধী মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সময়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সংলাপে ইসি কর্মকর্তাসহ অন্যরা অংশ নেন।

ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।