ঢাকা, বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন ২০২৫, ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ও স্থানীয় ভোট আগে চায় জামায়াত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০৭, জুন ২৫, ২০২৫
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ও স্থানীয় ভোট আগে চায় জামায়াত

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, তার দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগে চায়।

বুধবার (২৫ জুন) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সিইসির সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার আলোচনা হয়েছে। নিবন্ধন ও প্রতীকের গেজেট প্রকাশ করে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তায়ন করেছে ইসি। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বেআইনিভাবে নিবন্ধন বাতিল ও প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। চরম অন্যায় করেছিল। কমিশন গেজেট করায় যে প্রত্যাশায় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তা পূরণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভোটে পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) পদ্ধতি চাই। ঐকমত্য কমিশনেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা এটার দাবি জানিয়েছি। পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে সুষ্ঠু ভোট হয় না তা অতীতে দেখেছি। পিআর পদ্ধতিতে নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হয়। আমরা এক শতাংশ ভোটের হারে আসন বণ্টনের কথা বলেছি।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, এক কোটি ১০ লাখ মানুষ বিদেশে। ভোট দিতে পারে না। প্রবাসীরা যেভাবে বাংলাদেশকে বিদেশে উপস্থাপন করে, রেমিটেন্স পাঠায় তার চেয়ে বড় কথা তাদের ভোটও গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন বলেছে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তারা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে।

জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগেই চেয়েছি। নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক, অন্তর্বর্তী সরকার যেটিই হোক, সেটা হবে। সেটার অধীনে লোকাল নির্বাচন হলে ভালো হবে। দলীয়ভাবে ভোট হলে দলের সরকার তার প্রার্থী জয়ী করে নেয়। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা জাতীয় নির্বচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই।

তিনি বলেন, সংস্কার হবে তা যেন কাগজে না হয়। নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। আশকরি আগামীতে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে দাবিগুলোর কথা বললাম তা ইসি রিলেটেড। ঐকমত্য কমিশনের পাশাপাশি ইসিকেও জানালাম।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতি আর লোকাল নির্বাচন, এখানে স্থানীয় ভোট সরকার বললে আয়োজন করে ইসি। তাই দুই জায়গায় সমন্বয় করতে হবে।

বর্তমান ইসির প্রতি আস্থা আছে কি না জানতে চাইলে জামায়াত নেতা বলেন, আস্থার বিষয়টি আমরা অবজারভ করছি। তারা এখনো প্র্যাকটিক্যালি কাজ শুরু করেনি। অতীতের মতো দলীয় সরকারের অধীনে তো এ কমিশনের নিয়োগ হয়নি, এ সরকারের আমলেই নিয়োগ হয়েছে।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াত নেতা ও বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।

ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।