ঢাকা, শুক্রবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

এডিসন রিয়েল এস্টেট: বসুন্ধরায় অভিজাত আবাসনের পথপ্রদর্শক

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৭, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
এডিসন রিয়েল এস্টেট: বসুন্ধরায় অভিজাত আবাসনের পথপ্রদর্শক

রাজধানীর আবাসন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ব্যস্ত শহরের ভেতরেই মানুষ খুঁজছে এমন একটি ঘর, যেখানে থাকবে স্বস্তি, আধুনিক সুবিধা আর নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি।

এই চাহিদার সমাধানে শুরু থেকেই কাজ করছে এডিসন রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। নান্দনিক নকশা, আধুনিক সুবিধা আর মানসম্মত উপকরণ—প্রতিটি প্রকল্পেই তারা রেখেছে বিশেষ মনোযোগ।

বেশির ভাগ আবাসনই নির্মিত হয়েছে তাদের নিজস্ব জমিতে। ফলে কাজ এগিয়েছে দ্রুতগতিতে। এডিসন বেছে নিয়েছে রাজধানীর অন্যতম আকর্ষণীয় ঠিকানা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত আর সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এডিসন এখন দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল ডেভেলপার ব্র্যান্ডগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

বসুন্ধরায় বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট
গত তিন বছরে রাজধানীতে তিন হাজারেরও বেশি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রেতা, যা বার্ষিক মোট ক্রেতার ১০ শতাংশের বেশি, বেছে নিয়েছেন সুপরিকল্পিত এই ১১৩ বর্গকিলোমিটার আবাসিক এলাকা। এডিসন রিয়েল এস্টেটের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ছিল এম ও এন ব্লকে প্রথম দিকেই প্রকল্প শুরু করা, যা তাদের প্রাথমিক সফলতায় বড় ভূমিকা রাখে। বর্তমানে তারা বসুন্ধরা আবাসিকের সবচেয়ে বড় ডেভেলপারে পরিণত হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য ডেভেলপাররাও একই ধারা অনুসরণ করে।

ধীরে ধীরে পুরো এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে। গবেষণা বলে, শুধু আবাসন কম্পানিরাই এখানে গত তিন বছরে আট হাজার কাঠার বেশি ভূমি অধিগ্রহণ করেছে, যা ঢাকার মধ্যে সর্বোচ্চ।

বর্তমানে বসুন্ধরার এম ও এন ব্লকে চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন হচ্ছে। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, মাদানি এভিনিউয়ের সঙ্গে সংযোগ এবং প্রস্তাবিত পাঁচটি মেট্রো স্টেশন—সব মিলিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে বসবাসের জন্য গড়ে উঠেছে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গ্রোসারি শপ, পার্ক, খেলার মাঠ ও বিশ্বমানের ক্রীড়াকেন্দ্র।

এখানেই এডিসন হস্তান্তর করেছে তিনটি প্রকল্প এবং বর্তমানে নির্মাণ করছে আরো ৯টি, যার মধ্যে চারটি প্রায় হস্তান্তরযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগেই থাকছে নানা রকম অনুষঙ্গ ডাবল হাইট স্পেস, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, সবুজ লন, রিসেপশন লাউঞ্জ, মাল্টিপারপাস হল, ইনডোর গেমরুম, ইকুইপড জিমনেসিয়াম, জেন গার্ডেন, রুফটপ লেজার এরিয়া ও বারবিকিউ জোন।

এডিসন অ্যাড্রিয়ানা
বসুন্ধরা এম ব্লকে ২০ কাঠার প্লটে বর্তমানে নির্মাণ করা হচ্ছে বসুন্ধরার অন্যতম উঁচু ভবন। প্রতিটি ফ্লোরের তিনটি ইউনিটই দক্ষিণমুখী। এই তিন বেডরুম, এক হাজার ৮০০-র বেশি বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টগুলো পর্যাপ্ত আলো ও বায়ুপ্রবাহ নিশ্চিত করে ডিজাইন করা হয়েছে। প্রকল্পটি ডিজাইন করেছে ফোরওয়ালস ইনসাইড আউট।

এডিসন পর্শিয়া
এম ব্লকের এডিসনের আরেকটি অন্যতম নান্দনিক প্রকল্প এডিসন পর্শিয়া। তিন দিক খোলা, ৩০ কাঠার এই প্রকল্পে রয়েছে দুই হাজার ৪০০ বর্গফুটের চার বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট, যার প্রায় চারদিকেই খোলা। প্রতিটি বেডরুমের সঙ্গেই রয়েছে বারান্দা ও বাথরুম।

এডিসন ভ্যালেরিয়া
লেকের পাশের এই প্রজেক্টটির পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে লেকভিউসহ তিন পাশে খোলা। এক হাজার ৮০০-রও বেশি বর্গফুটের এই ইউনিটগুলো কয়েক মাসের মধ্যেই হস্তান্তর করা হবে। ভ্যালেরিয়া এবং পর্শিয়া উভয় প্রজেক্টই ডিজাইন করেছে উইডিজাইন স্টুডিও।

এডিসন ভায়োলা
এন ব্লকে আব্দুর রাহমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের কাছেই এই দুই পাশ খোলা আটতলা প্রকল্পটিতে মাত্র কয়েকটি এক হাজার ৬০০-র বেশি বর্গফুটের ইউনিট বাকি। প্রতিটি ইউনিট পরিকল্পিতভাবে তৈরি, যাতে পরিবার ও অতিথিদের জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয়।

এডিসন হারমিয়া
এম ব্লকের ৩৮ নম্বর রোডের শেষের দুই পাশ খোলা প্লটে এক হাজার ৮০০-র বেশি বর্গফুটের ইউনিট নিয়ে এখনই হস্তান্তরযোগ্য প্রজেক্ট হারমিয়া। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস নিশ্চিত করে ডিজাইন করা হয়েছে, যা আধুনিক জীবনযাপনকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে।

এডিসন কর্ডেলিয়া
এম ব্লকের ২০+ কাঠার সাউথ ফেসিং এই প্রকল্পে মাত্র কয়েকটি দুই হাজার ২০০-র বেশি বর্গফুটের ইউনিট বাকি আছে, যা আগামী বছরের শুরুতে হস্তান্তর করা হবে। কর্ডেলিয়া, হারমিয়া এবং ভায়োলা ডিজাইন করেছে কিউব ইনসাউড।

এডিসন জুনো
১৬ কাঠার এই নতুন প্রকল্পটি ৩০০ ফুট এক্সপ্রেসওয়ের অদূরেই। এক হাজার ৭০০-র বেশি বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টগুলো ডিজাইন করা হয়েছে গ্রাহকদের চাহিদা মাথায় রেখেই।

এডিসন অর্লিয়েন্স
এ বছর এম ব্লকের নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। দুই ইউনিটের এক হাজার ৭০০-র বেশি বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে তিনটি করে বারন্দা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ বাসাকেই আলো-বাতাসে পরিপূর্ণ করে তুলবে।
 
এডিসন সেলিয়া
এন ব্লকের নতুন এই প্রকল্পের প্রতিটি এক হাজার ৯০০-র বেশি বর্গফুটের সিঙ্গেল ইউনিট অ্যাপার্টমেন্টের দক্ষিণ দিকে উপভোগ করা যাবে লেকভিউ। সেলিয়া, অর্লিয়েন্স এবং জুনো ডিজাইন করেছে স্ল্যাট অ্যাটলায়ার।

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।