ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তৃণমূলের সঙ্গে মন্ত্রিত্বের বাটোয়ারা নিয়ে দোলাচলে কংগ্রেস

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১
তৃণমূলের সঙ্গে মন্ত্রিত্বের বাটোয়ারা নিয়ে দোলাচলে কংগ্রেস

কলকাতা থেকে: পশ্চিমবঙ্গে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যভিত্তিকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় সর্বভারতীয় দল ‘কংগ্রেস’। নির্বাচনে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট জয়ী হলে মন্ত্রিসভায় হিস্যা কী হবে তা নিয়ে দলটির মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে।



বুধবার কলকাতার মৌলালীতে ‘বিধানভবনে’ প্রদেশ কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

রাজ্য নেতাদের আশা তিনদলীয় জোট জিতে গেলে তারা মন্ত্রিসভায় নিশ্চয়ই অংশ নিতে পারবেন। তবে এর মধ্যে কিছু ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ রয়েছে।

২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২৮টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), ৬৪টি আসনে কংগ্রেস ও ২টি আসনে এসইউসি প্রার্থী দেয়। নির্বাচনে প্রচারও চালায় জোটবদ্ধভাবে।    

রাজ্যের ২৯৪ আসনের মধ্যে রাজ্যের সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হবে ১৪৮টি আসন। প্রশ্নটি এখানেই উঠেছে।

কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, তৃণমূল যদি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তবে তারা হয়তো মন্ত্রিসভায় ‘অপাংক্তেয়’ হয়ে পড়তে পারে। সেহিসেবে তারা ‘ভালো’ দপ্তর নাও পেতে পারেন।

আর ‘যদি’ তৃণমূল জোট একা ১৪৮ আসন না পায়, তবে মন্ত্রিত্বের হিস্যা আদায়ে কংগ্রেস শক্ত অবস্থান নিতে পারবে। তখন তাদের আশানুরূপ মন্ত্রীত্ব তারা পেলেও পেতে পারে।       

প্রদেশ কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশা, মানুষের মাঝে গিয়ে কাজ করা যাবে এমন দপ্তরের মন্ত্রীত্বই তারা আশা করছেন। রাজ্যের সাধারণ মানুষের মাঝে কংগ্রেসের দুর্বল অবস্থানের পরির্বতন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন। বিশেষ করে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাঠামোও দুর্বল। এসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দপ্তরই আপাতত কাম্য কংগ্রেসের।  

প্রদেশ কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। আমরা যাই ভাবি না কেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লির অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)। ’

আব্দুল মান্নান এ কথা বললেও কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা জানান, নয়াদিল্লি থেকে দলের হাইকমান্ড মন্ত্রিসভায় যোগদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে প্রদেশ নেতাদের হাতেই ‘সার্বভৌম’ ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে।

প্রদেশ কংগ্রেসের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছোটখাটো অর্থ্যাৎ কম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর যদি আমাদের নেওয়ার কথা বলা হয়, সেক্ষেত্রে কংগ্রেস মন্ত্রিসভায় নাও যেতে পারে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।