বাংলাদেশে পুশ ইন করা পশ্চিমবঙ্গের দুই পরিবারকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভারতের ফিরিয়ে আনতে হবে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কলকাতা হাইকোর্টের এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকারকে।
কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, বীরভূমের বাসিন্দা সোনালী বিবিসহ দুই পরিবারের ছয় সদস্য, যাদের বাংলাদেশে পুশ-ব্যাক করা হয়েছিল, তাদের দায়িত্ব সহকারে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠাতে হবে। এমনই কড়া নির্দেশে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ২৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম অভিযোগ ছিল, দিল্লির দুটি বাঙালি পরিবারকে আসাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। ওই দুই পরিবার হলো, পাইকর থানার অন্তর্গত সুইটি বিবি (৩৩), কুরবান শেখ (১৫), ইমাম শেখ (৫)। এবং মুরারই থানার ধীতোরা গ্রামের দানিশ শেখ (২৯), সোনালী বিবি (২৬) ও সাবির শেখ (৫)। এই দুই পরিবার দিল্লিতে বহু বছর ধরে ইট ভাঙার কাজে যুক্ত।
দুই পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৮ জুন দিল্লির কেএন কাটজু থানা এলাকায় ছয়জনকে আটক করা হয়। আটক হওয়ার পরই অভিযুক্তরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা জানায়, বাংলাদেশি সন্দেহে তাদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। দ্রুতই পরিবারের সদস্যেরা দিল্লিতে এসে যেন তাদের মুক্ত করায়।
এ কথা শোনামাত্রই পরিবারের সদস্যেরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। তারা পৌঁছানের পর থানা জানায় যাদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছিল, তাদের বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের কোথা থেকে তাদের পুশ ইন করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য থানার তরফে জানানো হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছিল পরিবারের সদস্যেরা।
তারপরই পরিবারের তরফে, পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায়, তাদের আসাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল।
পরবর্তীতে মামলাটি ভারতের শীর্ষ আদালতে উঠলে, সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইর্কোটকে। সেই মর্মে, কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ভারতে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
যদিও হাইকোর্টের এই নির্দেশনা কার্যকরের উপরে ছয় সপ্তাহের জন্য স্বল্প সময়ের স্থগিতাদেশ চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
ভিএস/এএটি