ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় কমে যাচ্ছে তরুণের সংখ্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪
কলকাতায় কমে যাচ্ছে তরুণের সংখ্যা

কলকাতা: কলকতায় আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে তরুণের সংখ্যা। অন্যদিকে বেড়ে চলেছে বয়স্কদের একাকীত্ব।

সম্প্রতি কলকাতায় পরিচালিত কয়েকটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।  

ব্যস্ত রাস্তাঘাট, জনাকীর্ণ বাসস্ট্যান্ড কিংবা মেট্রোরেল স্টেশনের দিকে তাকালে বোঝা যায় না কলকাতা শহরে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে তরুণের সংখ্যা। কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্যকথা।

জনসংখ্যা গণনার হিসেবে দেখা গেছে, ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কলকাতার জনসংখ্যা কমেছে ৮০ হাজার। শহরের যেসব সরকারি বিদ্যালয়ে ৯০’র দশকে একটি শ্রেণীতে ছাত্র সংখ্যা থাকতো ১শ’ ২০ থেকে ১শ’ ৬০ জনের মধ্যে, সেখানে বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ জনের বেশি নয়।

গবেষণায় উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য, যা আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে সচেতন মহলের মধ্যে। কলকাতা শহরের মোট শিশু জন্মের হার (টিএফআর) নেমে এসেছে এক দশমিক দুই শতাংশতে। এই হার ভারতের সব রাজ্যের তুলনায় কম। যেখানে ১৯৭০ সালে কলকাতায় জন্মের হার ছিল দুই দশমিক এক শতাংশ।   

চীনের শিশু জন্মের হার এক দশমিক পাঁচ এবং ইউরোপে এই হার এক দশমিক ছয় শতাংশ। এছাড়া ভারতের রাজধানী দিল্লিতে শিশু জন্মের হার দুই দশমিক দুই, হায়দ্রাবাদে এক দশমিক ছয়, ব্যাঙ্গালুরুতে এক দশমিক সাত এবং মুম্বাইয়ে এক দশমিক চার শতাংশ।

গবেষকরা মনে করছেন, কলকাতায় শিশু জন্মের হার এভাবে কমে যাওয়ায় আগামী দিনে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার জন্ম দেবে।

গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলে দেখা গেছে, নয় শতাংশ কলকাতাবাসীর বয়স ৬০ বছরের উপরে। ইউনাইটেড নেশন পপুলেশন ফান্ড’র হিসাব অনুযায়ী, ২০৫০ সালে ভারতের জনসংখ্যার ১৯ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি হবে। একই সঙ্গে ২৫-৩০ বছরের মধ্যে কলকাতায় এ হার দাঁড়াবে ২০ শতাংশের বেশি।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিকাঠমো পরিবর্তনের কারণে একটির বেশি সন্তান নিতে আগ্রহী নয় কলকাতার দম্পতিরা। এছাড়া বিবাহ বিচ্ছেদ ও বন্ধ্যাত্বের কারণেও কমছে জন্মহার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।