চট্টগ্রাম: অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অন্যতম শীর্ষ ঋণ খেলাপি রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (আরএসআরএম) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (৮ জুন) রাতে র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাকসুদুর রহমানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকার গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ১২২ নম্বর সড়কের বাসায় অভিযান শুরু হয়। পরে রাত ১টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপি আরএসআরএম গ্রুপের কাছে ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা আটকে আছে। ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের লালদিঘী ইস্ট কর্পোরেট শাখা। এ ব্যাংক সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স মডার্ন স্টিল মিলস লিমিটেডের কাছে ৪০৯ কোটি, মেসার্স রতনপুর শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ৩০৫ কোটি ও এসএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের কাছে ৫১২ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে আরএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানের পাসপোর্ট আদালতে জমাদানের পাশাপাশি তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মামলার রায়ে আদালত কর্তৃক মাকসুদুর রহমানকে একজন ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ২০১৯ সালে মাত্র দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করার সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুযোগে ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন অনেক খেলাপি। কিন্তু সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও তা গ্রহণ করেনি আরএসআরএম গ্রুপ। মাকসুদুর রহমান মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে ২০টি মামলা বিচারাধীন। দুইটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম নুর এ খোদা বাংলানিউজকে বলেন, আরএসআরএম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুর রহমানকে এনআই অ্যাক্টের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
এমআই/টিসি