ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোরবানিতে সুন্দর গরুর চাহিদা বেশি চট্টগ্রামে

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
কোরবানিতে সুন্দর গরুর চাহিদা বেশি চট্টগ্রামে ...

চট্টগ্রাম: রেড চিটাগাং, শাহিওয়াল, নেপালি, ব্রাহামার মতো সুন্দর গরুর চাহিদাই বেশি চট্টগ্রামের কোরবানির পশুর হাটে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে গৃহস্থ ও খামারিরা কোরবানির উপযোগী গরু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার চট্টগ্রামের খামারিদের মধ্য থেকে মোট গবাদি পশুর প্রাপ্যতা ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৩৫৯টি। এর মধ্যে ষাঁড় ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৬টি, বলদ ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৫৫টি, গাভি ৩৭ হাজার ৮৪৪টি।

মোট গরু ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৫টি। এ ছাড়া মহিষ ৭১ হাজার ৩৬৫টি, ছাগল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩টি, ভেড়া ৫৮ হাজার ৬৯২টি, অন্যান্য ৪৪টি। এবার কোরবানিতে চট্টগ্রামে পশু চাহিদা রয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬৫টি গবাদি পশুর। এ হিসাবে ঘাটতি প্রায় ৩৭ হাজার ৪০৬টি।  

২০২৩ সালে চট্টগ্রামে কোরবানি হয়েছে ৮ লাখ ১৭ হাজার ১২৯টি পশু। স্থানীয়ভাবে পশুর জোগান দেওয়া হয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির এখনো প্রায় দেড় মাস বাকি। এখনো অনেক খামারি গরু মোটাতাজা করার উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করছেন। আমরা গৃহস্থ ও খামারিদের যেসব গরু কোরবানির বাজারে বিক্রির উপযোগী তার একটি সম্ভাব্য ডাটা সংগ্রহ করেছি। তাতে দেখা যাচ্ছে ৩৭ হাজারের মতো পশু কম রয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে চট্টগ্রামের কোরবানির হাটে রেডকাউ, শাহিওয়ালের মতো সুন্দর গরুর চাহিদাই বেশি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেপারী ও খামারিরা এখানকার বড় বড় পশুর হাট গুলোতে গরু নিয়ে আসে। তাই সংকট হবে না।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ন্যায্য মূল্য পেলে খামারি ও গৃহস্থরা গরু পালনে উদ্বুধ্ধ হন। সরকারিভাবে গরুর কৃত্রিম প্রজনন, চিকিৎসা, পরামর্শ, উন্নতমানের ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করাসহ খামার স্থাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এতে গবাদিপশু উৎপাদনে দেশে নীরব বিপ্লব চলছে।  

চট্টগ্রাম জেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মিল্কভিটার পরিচালক নাজিম উদ্দিন হায়দার বাংলানিউজকে জানান, কর্ণফুলী উপজেলাতেই দেড় হাজার খামার রয়েছে। পুরো জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৪ লাখ খামার আছে। আশাকরি এবারও কোরবানির পশুর হাটে গবাদিপশুর সংকট হবে না।  

তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে অত্যধিক গরমের কারণে অনেক গবাদিপশু খাবার খাচ্ছে না। হিট স্ট্রোকেও আক্রান্ত হচ্ছে। আবার বিদ্যুতের সংকটও প্রকট। গরুকে গোসল দেওয়ার পানির পাম্প চালানো, তাপমাত্রা সহনীয় রাখতে বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। গোখাদ্য বিশেষ করে সয়াবিন বাজারজাতকরণে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। চাক্তাই-আসাদগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ভেজাল ডেইরি ফিড তৈরি করা হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনের অভিযান চাই। কৃষির মতো ডেইরি শিল্পের উদ্যোক্তাদের সুযোগ সুবিধা ও ভর্তুকি বাড়ানোর দাবি জানাই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।