ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৮৩ জনের আইনি লড়াইয়ে মাত্র ২ জন পেলেন ভর্তির সুযোগ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
৮৩ জনের আইনি লড়াইয়ে মাত্র ২ জন পেলেন ভর্তির সুযোগ চবি লোগো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: উচ্চমাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পান অনেকে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ভর্তি হতে না পেরে ৮৩ জন হাইকোর্টে রিট করেন।

দীর্ঘ আড়াই বছর আইনি লড়াই শেষে ওই ৮৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২ জন পেয়েছেন ভর্তির অনুমোদন।  

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি জমা দিয়ে ভর্তির অনুমতি পেয়েছেন ফাহিমা আক্তার ও জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন।

এর মধ্যে ফাহিমা আক্তার মেধাতালিকায় ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ-ইউনিটে ৪৩৪তম। এ ছাড়া জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত বি-ইউনিটে ১০৯১তম হয়েছিলেন।

ফাহিমা আক্তার ও জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিলেও চবিতে প্রথমবারই ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে নিয়মের বেড়াজালে আঁটকে সময়মতো ভর্তি হতে পারেননি তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের বিপরীতে হাইকোর্টে রিট করে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তারা। ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালত তাদের ভর্তির আদেশ দিলেও রায়ের কপি দেখানোর পরে ভর্তির সুযোগ পাবেন বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তবে এ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সেই রায়ের কপি সংগ্রহের জন্য চেষ্টা করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাকিব উদ্দিনের সহযোগিতায় রায়ের কপি আনতে সক্ষম হন তারা।

ভর্তির অনুমতি পাওয়া ফাহিমা আক্তারের বোন সাদিয়া নুসরাত ফাতেমা বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৯-২০ সেশনে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৩ জন শিক্ষার্থী হাইকোর্ট রিট করলে হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের পক্ষে রায় দেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ রায়ের বিপরীতে আপিল করে। কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল- যারা একবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তাদের ভর্তি নেওয়া হবে না। সব শেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ওই ৮৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জনের ভর্তির সিদ্ধান্ত বাতিল হলেও বাকি দুইজনের ভর্তি নেওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন। তবে আমরা এতদিন রায়ের কপি আনতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তির অনুমতি দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাকিব উদ্দিনের সহযোগিতায় আমরা রায়ের কপি সংগ্রহ করে আজ জমা দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ এ সপ্তাহের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের আশ্বাস দিয়েছে।  

জিনাতুল ফেরদৌসের বাবা মো. জুলহাস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আজকে আমরা রায়ের কপি জমা দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ ভর্তির অনুমতি দিয়েছে। আমার মেয়ের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এবং চেষ্টার ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। আশাকরি একটা ভালো সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পাবে সে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছি। নিয়মানুযায়ী তারা ২০১৯-২০ সেশনেই ভর্তি হবেন। তবে যেহেতু ওই সেশনের পরীক্ষাগুলো হয়ে গেছে, তাই তারা পরবর্তী সেশনের সঙ্গে পরীক্ষা দেবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।