ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের আড়তে ৪ লাখ পশুর চামড়া 

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:০৬, জুন ১১, ২০২৫
চট্টগ্রামের আড়তে ৪ লাখ পশুর চামড়া  ...

চট্টগ্রাম: আড়তদাররা সাড়ে ৪ লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন কোরবানির আগে। তবে জেলা-উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৫১টি চামড়া।

আরও বেশকিছু চামড়া সংরক্ষণের কাজ চলছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি গরু ও মহিষের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৩০২টি। চট্টগ্রাম জেলায় সংগৃহীত চামড়ার সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার একশটি।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যববসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৬ উপজেলা থেকে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৫১টি কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। মহানগর থেকে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০০টি এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫১টি গরুর চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। শুধু চট্টগ্রাম জেলা থেকে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৩৫১টি গরুর চামড়া, ১০ হাজার ৫০০টি মহিষ ও ৫২ হাজার ৫০০টি ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি পশু কোরবানি হয়েছে। চট্টগ্রামে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩টি, ৬৪ হাজার ১৬৩টি মহিষ, ২ লাখ ৫১ হাজার ৭৪টি ছাগল।

শনিবার (৭ জুন) সকালে কোরবানির পর থেকে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করতে শুরু করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সংগৃহীত চামড়া নিয়ে যাওয়া হয় নগরের আতুরার ডিপো এলাকার চামড়ার আড়তে। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রায় ১০ টন চামড়া রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলেন। অবশ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৬২০টি চামড়া পচিয়ে ফেলেছে’।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। চামড়া সংরক্ষণের জন্য মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করা হয়।

আড়তদার সমিতির নেতা মাহবুবুল আলমের দাবি, সরকারের বেঁধে দেওয়া দর অনুযায়ী লবণযুক্ত একটি চামড়ায় শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ৪০০-৪৫০ টাকা পড়ে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০-৬০০ টাকা দরে কাঁচা চামড়া কিনে সমস্যায় পড়েন। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে দীর্ঘসময় রাস্তায় রাখার পর আড়তে আনার কারণে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে।  

এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।