ঢাকা, শনিবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জুন ২০২৫, ১০ জিলহজ ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদে নগরের নিরাপত্তায় সিএমপির নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৩২, জুন ৬, ২০২৫
ঈদে নগরের নিরাপত্তায় সিএমপির নির্দেশনা ...

চট্টগ্রাম: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটিতে নগরের নিরাপত্তায় বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।  

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বাসা-বাড়ি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের সার্বিক নিরাপত্তায় সকল ধরনের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে ঈদের উৎসবকে আনন্দময় ও সকলের জন্য নিরাপদ করার জন্য আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

সিএমপির নির্দেশনাগুলো হলো-কোরবানির পশুবাহী গাড়িগুলো নির্দিষ্ট স্থানে লোড ও আনলোড ও পশুর হাটে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি হতে সাবধান থাকা। জালনোট এবং লেনদেনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পশু বিক্রি করা অর্থ ব্যাংকে জমা রাখা ও নগদ অর্থ স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট সেবা গ্রহণ। কোরবানির পশু পরিবহন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে নিকটস্থ পুলিশকে জানানো। অনলাইনে কোরবানির পশু কেনায় সতর্কতা অবলম্বন করা। কোরবানির পশু রাস্তার ওপরে জবাই না করে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে অথবা মহল্লার কোনো নির্ধারিত স্থানে জবাই এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ কাজে সহায়তা। বাসা-বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নিরাপত্তা রক্ষীদের ডিউটি জোরদার। যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার সার্বিক তদারকি করতে প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে ছুটি না দিয়ে একটি অংশকে দায়িত্বপালনে নিয়োজিত রাখা। বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়ার আগে দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালা দেওয়া প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার। সেইসঙ্গে বাসা-বাড়ির মূল দরজায় অটোলক ও নিরাপত্তা অ্যালার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করা যেতে পারে। বাসা-বাড়ি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা বসানো এবং সেগুলো সচল থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা। রাতে বাসা ও প্রতিষ্ঠানের চারপাশ পর্যাপ্ত আলোকিত রাখার ব্যবস্থা করা। অর্থ, মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ স্থানে রাখা। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। বাসা-বাড়ি ছাড়ার আগে প্রতিবেশী বা পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের বাসার দিকে খেয়াল রাখতে অনুরোধ এবং ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা। ভাড়াটিয়ারা আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসায় না থাকার বিষয়টি জানাবেন। অনুমতি ছাড়া কেউ যেন বাসা বা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে না পারে, এ বিষয়ে বাসা বা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করা। বাসা বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত রাখা। বাসার জানালা-দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে অবাঞ্ছিত শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলতে হবে যাতে অপরাধীরা গাছের শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় ঢুকতে না পারে। মহল্লায় বা বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে বা কোনো দুষ্কৃতকারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে জানানো। ঈদে মহল্লা বা বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকলে তা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে জানানো। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে রাইডিং না করা।  

এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে পুলিশি সহায়তার জন্য সিএমপি কন্ট্রোল- ০১৩২০-০৫৭৯৯৮ এ যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়াও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমেও পুলিশের সেবা পাওয়া যাবে।

পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।