ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

বোলাররা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও চালকের আসনে উইন্ডিজ

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
বোলাররা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও চালকের আসনে উইন্ডিজ তৃতীয়দিন শেষে ফিরছে দু’দল ছবি: শোয়েব মিথুন

স্বস্তি নিয়ে তৃতীয়দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের পর বোলাররাও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।

 

অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে টপ-অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে হারালেও চালকের আসনে থেকে দিন পার করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানরা লিড নিয়েছে ১৫৪ রানের।  

ছবি: শোয়েব মিথুন

১১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ২১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান করেছে উইন্ডিজ। সফরকারীরা প্রথম ইনিংসে করে ৪০৯ রান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৯৬ রানে।  

ছবি: শোয়েব মিথুন

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ধাক্কা খায় ক্যারিবিয়ানরা। উইন্ডিজ অধিনায়ক-ওপেনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে (৬) সাজঘরে ফেরান নাঈম হাসান। এরপর টেস্ট ক্যারিয়ারের শততম উইকেট হিসেবে শেন মোসলেকে (৭) বেছে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের জার্সিতে দ্রুততম সময়ে ১০০ টেস্ট উইকেট তুলে নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন এই অফ-স্পিনার। এর আগে এই রেকর্ড ছিল বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের দখলে।

ছবি: শোয়েব মিথুন

রেকর্ড গড়তে মিরাজের লাগলো ২৪ টেস্ট। এর আগে ২৫ টেস্ট খেলে শীর্ষে ছিলেন তাইজুল। সেই সঙ্গে ১০০ উইকেট শিকারি মাত্র চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হলেন মিরাজ। এর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক, সাকিব আল হাসান ও তাইজুল।

মোসলের ফেরার পরে দিনের শেষ উইকেট জন ক্যাম্পবেলকে ‘অদ্ভূতভাবে’ বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিবিয়ান ওপেনার বলটি সফলভাবে ট্যাকল করেছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বল ড্রপ খেয়ে ক্যাম্পবেলের পায়ের ফাঁক গলে লাগে স্টাম্পে।  

ছবি: শোয়েব মিথুন

দিনের শেষ ২৬ বলে খেলে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এনক্রুমাহ বোনার (৮) ও জোমেল ওয়ারিক্যান (২)। আগামীকাল চতুর্থদিন শুরু করবেন তারা।  

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে ঢাকা টেস্টের তৃতীয়দিনে লিটন দাশের সঙ্গে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ফলোঅন এড়াতে সাহায্য করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে দু’জনে ২৫৫ বলে করেন ১২৬ রানের জুটি। দুজনে তুলে নেন ফিফটিও।   

ছবি: শোয়েব মিথুন

তাদের এই জুটি ভাঙেন কর্নওয়াল। একই ওভারে লিটনকে (৭১) আউট করার পর নাঈমকেও শূন্য হাতে ফেরান তিনি। সেই সঙ্গে পঞ্চম টেস্ট খেলতে নেমে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন কর্নওয়াল।  

লিটনকে হারানোর পর বেশিক্ষণ টিকেননি মিরাজও। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে। শেষ উইকেট হিসেবে আবু জায়েদকে (১) ফেরান আলঝেরি জোসেফ। তাইজুল অপরাজিত ছিলেন ১৩ রানে।  

ছবি: শোয়েব মিথুন

এর আগে মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর দল যখন চূড়ান্তভাবে ধুঁকছিল, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে আসেন লিটন ও মিরাজ। তাদের জুটিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলীয় ২১০ রান করে ফলোঅন এড়ায় টাইগাররা।

ফিফটির পাশাপাশি নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন। ২২ টেস্ট ও ৩৭ ইনিংসে এই কীর্তি গড়েন তিনি।

ছবি: শোয়েব মিথুন

মুশফিকের বিদায়ে ফের বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয়দিন শুরুতেই সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারে ২২তম ফিফটির পর রাহকিম কর্নওয়ালের বলে আত্মঘাতী শট খেলে বিদায় নেন তিনি।

দিনের শুরুতে পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৭১ রান করার পর বিদায় নেন মোহাম্মদ মিঠুন। কর্নওয়ালের বলে ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফেরেন তিনি। ৪ উইকেটে ১০৫ রানে তৃতীয়দিন শুরু করে বাংলাদেশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad