ঢাকা, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

মিরপুর নিয়ে লিটনের ‘ক্ষোভ’, সতর্ক পাকিস্তান অধিনায়ক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৯, জুলাই ১৯, ২০২৫
মিরপুর নিয়ে লিটনের ‘ক্ষোভ’, সতর্ক পাকিস্তান অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস ও পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা/ছবি: কালেরকণ্ঠ

মিরপুরের উইকেট নিয়ে আগে থেকেই সমালোচনা রয়েছে। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর পর সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, মিরপুরে যদি কোনো ব্যাটারকে ১০-১৫টি ম্যাচ খেলানো হয়, তাহলে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।

সাকিবের সেই মন্তব্যের প্রতিধ্বনি শোনা গেল লিটন দাসের কণ্ঠেও। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘আমি একমত। ব্যাটার হিসেবে অনেক প্লেয়ারেরই ক্যারিয়ার ডাউন হয়ে গেছে (এই উইকেটে খেলে)। যদি বোলার হতাম, হয়তো ক্যারিয়ারটা আরও ভালো যেত। অবশ্যই বাংলাদেশ দল এখানে সিরিজ জিতেছে, উন্নতি করেছে—এটা একটা বড় প্লাস পয়েন্ট। কিন্তু একই সময়ে ব্যাটারদের জন্য বিষয়টা কঠিন ছিল। ’

পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ নিয়েও সাবধান লিটন। তার ভাষায়, ‘এই সিরিজটা মোটেও সহজ হবে না। তাদের দলে রহস্য স্পিনার আছে, যারা ভালো বল করতে পারে। মিরপুর সবসময় চ্যালেঞ্জিং, আমাদের একসঙ্গে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই নামতে হবে। ’

নিজের ব্যাটিং নিয়ে আত্মসমালোচনায় সরল লিটন বলেন, ‘গত দশ বছর ধরেই এভাবে খেলছি, আর কত সেট হব! আসল কথা হলো—পারফর্ম করতে পারছি না। ধারাবাহিকভাবে ভালো করার চেষ্টা করছি। অনুশীলনে কোনো ঘাটতি ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না। ’

শুধু লিটনই নয়, পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগাও মিরপুরের কন্ডিশন ও বাংলাদেশের হোম অ্যাডভান্টেজকে গুরুত্ব দিয়ে কথা বললেন। তবে তার লক্ষ্য পরিষ্কার—তিনটি ম্যাচই জিতে সিরিজে জয়।

আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অ্যাওয়ে কন্ডিশন। যেকোনো মাঠে, যেকোনো ভেন্যুতে এবং যেকোনো দেশেই বাংলাদেশ ভালো দল। আর ঘরের মাঠে তো আরও শক্তিশালী। আমরা জানি কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। মাঠে নামার জন্য আমরা প্রস্তুত এবং চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি। ’

সম্প্রতি খেলার ধরনে পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। আক্রমণাত্মক মানসিকতায় খেলতে গিয়ে তারা একাদশ থেকে বাদ দিয়েছে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও। তবে মিরপুরের উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান সালমান।

তিনি বলেন, ‘আমরা খেলার ধরন বদলেছি, এখন আমরা এভাবেই খেলতে চাই। তবে কন্ডিশন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মাঠ দেখে বুঝব কেমন খেলব। যদি কন্ডিশন আক্রমণাত্মক খেলার উপযোগী হয়, তাহলে সেই পথে যাব। আর যদি না হয়, তাহলে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেব। আমাদের লক্ষ্য গড় রান থেকে ১০-১৫ রান বেশি করা এবং প্রতিপক্ষকে গড়ের চেয়ে কমে আটকানো। ’

বিপিএলে খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চান সালমান, ‘আমাদের দলের অনেকেই বিপিএল খেলেছে। তাদের অভিজ্ঞতা এবং ইনপুট আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছি। ’

গত ৯ বছরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় নেই বাংলাদেশের। তবে অতীত নয়, বর্তমানেই মনোযোগ রাখছেন সালমান, ‘আমি অতীত নিয়ে ভাবছি না। ভাবছি না ৯ বছরে কী হয়েছে। আমরা আমাদের খেলাতেই মনোযোগ রাখছি। প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি বল ধরে ধরে এগোতে চাই। যদি তিনটি ম্যাচই জিততে পারি, খুব খুশি হবো। ’

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।