ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

ফাইনালে উঠতে সাকিবদের টার্গেট ১৬৪

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৫
ফাইনালে উঠতে সাকিবদের টার্গেট ১৬৪ ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দুপুর দু্ইটায় মাঠে নামে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স ও মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দিনের প্রথম ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের দলপতি সাকিব আল হাসান।



আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা ১৬৩ রান সংগ্রহ করেছে। রংপুরের হয়ে একাই ৫ উইকেট তুলে নেন থিসারা পেরেরা। আর কুমিল্লার হয়ে দারুণ অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন ইমরুল কায়েস।

কুমিল্লার হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু করে ভিক্টোরিয়ান্স। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে এ দুই ওপেনার তুলে নেন ৪৬ রান। দলীয় পঞ্চম ওভারে আর সাকিবের করা প্রথম ওভারে ইমরুল শেষ দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকান। পরের ওভারে আফগানিস্তানের বোলার মোহাম্মদ নবীকেও পরপর দু’বার সীমানা ছাড়া করেন ইমরুল।

ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে কুমিল্লার ৭৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন সাকলাইন সজীব। ওপেনার লিটন দাস ব্যক্তিগত ২৮ রান করে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে একটি বাউন্ডারিতে ইনিংস সাজান লিটন। এরপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যাট হাতে নেমে পড়েন এবারের আসরে একটি দুর্দান্ত অর্ধশতক হাঁকানো কুমিল্লার দলপতি মাশরাফি। ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে এক রান করে বিদায় নেন তিনি। থিসারা পেরেরার বলে রংপুরের দলপতি সাকিবের তালুবন্দি হন কুমিল্লার দলপতি।

তবে, ব্যাটিং ক্রিজের একপ্রান্ত ধরে রেখে কুমিল্লার রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। বাঁহাতি এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইনিংসের ১৬তম ওভারে বিদায় নেন। পেরেরা নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ইমরুলকে সাজঘরে ফেরত পাঠান। তবে, বিদায়ের আগে ৪৮ বলে ৭টি চার আর দুটি ছক্কায় ইমরুল করেন ৬৭ রান।

একই ওভারে (১৬তম ওভারে) ইমরুলের পর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে সাজঘরে ফেরান পেরেরা। এলবির ফাঁদে পড়েন শূন্যহাতে ফেরা রাসেল। ওভারের দ্বিতীয় বলে ইমরুল, পঞ্চম বলে রাসেলকে ফেরানো পেরেরা শেষ বলে বিদায় করেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদকেও। নিজের প্রথম বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন শেহজাদ।

নিজের শেষ ওভারে (ইনিংসের ১৮তম ওভার) প্রথম বলে উইকেট পেলেই হ্যাটট্রিকের স্বাদ নিতে পারতেন লঙ্কান বোলার পেরেরা। প্রথম বলে উইকেট শিকার করতে না পারলেও সে ওভারেই অলোক কাপালিকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেটটি তুলে নেন পেরেরা। আল আমিনের ক্যাচে ফেরার আগে কাপালি ২ রান করেন।

শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে শুভাগত হোম স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। ৫ বলে ১২ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে বিদায় নেন শুভাগত।

তবে, সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেই ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন আসহার জাইদি। মাত্র ১৫ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন জাইদি। তার ব্যাট থেকে ৪টি চার আর দুটি ছক্কা আসে। এক রান করে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার।

রংপুরের হয়ে পেরেরা ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট তুলে নেন। একটি করে উইকেট পান সজীব ও নবী। উইকেট শূন্য থাকেন স্যামি, সানি, সাকিব, আল আমিন। সাকিবের ৪ ওভার থেকে সর্বোচ্চ ৪২ রান তুলে নেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা।

রংপুর একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সারকার, আরাফাত সানি, মোহাম্মদ মিঠুন (উইকেটরক্ষক), সাকলাইন সজীব, জহুরুল ইসলাম, আল-আমিন, মোহাম্মদ নবী, ড্যারেন স্যামি, থিসারা পেরেরা ও লিন্ডল সিমন্স।

কুমিল্লা একাদশ: মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, শুভাগত হোম, মাহমুদুল হাসান, অলোক কাপালি, নুয়ান কুলাসেকারা, আন্দ্রে রাসেল, আহমেদ শেহজাদ, আসহার জাইদি ও আবু হায়দার রনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর

** ফাইনাল নিশ্চিতে ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।