এতদিন নির্বাচনের প্রসঙ্গে নিজেকে দূরে রাখলেও আজ মুখ খুলেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। জানালেন, ‘আমাদের এই ক্রিকেট বোর্ডের মেয়াদের শেষ দিন আজকে।
চার মাসের সভাপতিত্বে নিজের অর্জন তুলে ধরলেন আমিনুল। প্রশ্ন এল বিসিবি নির্বাচন নিয়ে; কখনও উত্তর এড়িয়ে গেলেন, কখনও বললেন নিজের মতো করে, আবার কখনও বল ঠেলে দিলেন নির্বাচন কমিশনের কোর্টে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোয় নানা বিতর্ক, সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ এবং প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোয় বিসিবি নির্বাচন এখন প্রায় আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত। ২০ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হয়েছেন কয়েকজন, যার মধ্যে রয়েছেন সভাপতি আমিনুল ও তার পাশে থাকা নাজমূল আবেদীনও। তাই সভাপতির পদে আমিনুলের পুনর্নির্বাচন এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি এই নির্বাচন আদর্শ? উত্তরে আমিনুল বললেন, ‘আইডিয়াল ভোট হচ্ছে কিনা, এটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। ভোটে তো আপস অ্যান্ড ডাউন থাকবেই। এটা আমার জন্য প্রথম। হয়তো ভাবছি, এটাই হয়তো নরমাল। ’
কেমন নির্বাচন তিনি চেয়েছিলেন, এমন প্রশ্নে উত্তরটা আবারও ঘুরিয়ে দিলেন, ‘সবকিছুই প্রথম তো। আমি নিজেও শিখছি প্রত্যেকটা দিন। আমি একটা জিনিস শিখেছি, প্রত্যেকটা ঘণ্টা বদলে যায়। তো এখনও তো ভোট প্রায় ২০ ঘণ্টা বাকি আছে, দেখি কী হয়। ’
ঢাকার একটি হোটেলে আগেভাগে ভোট সেরে ফেলার খবর প্রকাশিত হয়েছে একটি দৈনিকে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমি জানি না। এটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। ’
চার মাস আগে দায়িত্ব নেওয়ার সময় নিজেকে ‘টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে আসা’ বলেছিলেন আমিনুল। এখন অবশ্য অবস্থান বদলেছে। তিনি বললেন, ‘আমার ঠিক মনে নেই, কবে বলেছি যে ক্রীড়া উপদেষ্টা আমাকে অনুরোধ করেছে। তবে উনি সবসময় সহযোগিতা করেছেন। উনি একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার মানুষ। আমি জানি, তিনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চেষ্টা করেছেন যেন একটা ভালো বোর্ড তৈরি হয়। আমার কাছে কোনো ইনফ্লুয়েন্স মনে হয়নি। ’
নিজের প্রার্থিতা নিয়ে বললেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য আমার মনে হয়েছে, আমাকে কন্টিনিউ করতে হবে। যদি কেউ মনে করেন আমি যথেষ্ট ভালো না, তাহলে আমি যেকোনো সময় সরে যেতে প্রস্তুত। তবে আমার লক্ষ্য একটাই; বাংলাদেশ ক্রিকেট। ’
অন্যদিকে, সভাপতি পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার সম্ভাবনা থাকা তামিম ইকবাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আরও ১৯ জন প্রার্থীও সরে দাঁড়ানোয় নির্বাচনের আমেজ হারিয়ে গেছে একরকম। এই বিষয়ে আমিনুলের মন্তব্য, ‘যে যে বয়কট করছে বা আসছে না, এটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ করতে চাই। ’
ঢাকার ৪৮ ক্লাবের প্রতিনিধিরা তিন দফা দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি না মানলে লিগ বর্জন করবেন। প্রতিক্রিয়ায় আমিনুল বলেন, ‘বিশ্বযুদ্ধগুলো হতো না, যদি কেউ চেয়ারে টেবিলে বসে আলোচনা করতো। আমরা চেষ্টা করব আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু ক্লিয়ার করার। ’
আরইউ