লর্ডস টেস্টে পেসারদের দাপটে জমে উঠেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ঐতিহাসিক এই মাঠে প্রায় ১১৩ বছর পর টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা বলেছিলেন, উইকেট ভালো হলেও আকাশ মেঘলা হওয়ায় কন্ডিশনের কথা ভেবেই তারা আগে বোলিং নেবেন। অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্তকে একেবারে যথার্থ প্রমাণ করে আগুন ঝরিয়েছেন কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেন।
রাবাদার দাপটে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আরও চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। দিন শেষে তাদের স্কোর ৪ উইকেটে ৪৩ রান। তারা এখনও পিছিয়ে আছে ১৬৯ রানে।
দিনের ১৪ উইকেটের মধ্যে ১২টিই পেসারদের। ৫১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রাবাদা ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার জন্য ত্রাস। ইয়ানসেন নেন ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জশ হেইজেলউড ভাগাভাগি করে নেন ৪ উইকেট।
এই ইনিংসেই লর্ডসে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন রাবাদা। সেই সঙ্গে অ্যালান ডোনাল্ডকে ছাড়িয়ে ৩৩২ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট শিকারি হন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে স্টিভেন স্মিথ (৬৬) ও বাউ ওয়েবস্টার (৭২) ব্যাট হাতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা বড় ইনিংসে পরিণত হয়নি। স্মিথ তার ইনিংসে গড়েন দুটি রেকর্ড। লর্ডসে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফিফটি (১৮টি) ও সর্বোচ্চ রান (৫৯১)।
একপর্যায়ে স্মিথ ও ওয়েবস্টারের ৭৯ রানের জুটিতে মনে হচ্ছিল কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছে অজিরা। তবে ৪২তম ওভারে বাভুমার চাল চলায় ম্যাচে ফেরে প্রোটিয়ারা। এইডেন মার্করাম ফেরান স্মিথকে।
এরপর আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। শেষ ৫ উইকেট পড়ে মাত্র ২২ রানে, যার ৪টিই নেন রাবাদা। ইনিংসের সর্বোচ্চ রানে থাকা ওয়েবস্টারও শেষমেশ রাবাদার বলে স্লিপে ধরা পড়েন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপও ভেঙে পড়ে শুরুতেই। স্টার্কের প্রথম ওভারেই আউট হন অভিজ্ঞ ওপেনার মার্করাম। এরপর রায়ান রিকেলটন, ভিয়ান মুল্ডার ও ট্রিস্টান স্টাবসও বিদায় নেন দ্রুত।
আরইউ
