মাঠের বাইরে নানা জটিল বাস্তবতায় দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে সাকিব আল হাসান। কার্যত টেস্ট ক্রিকেট থেকে হয়ে গেছেন অলিখিতভাবে অবসরপ্রাপ্ত।
গত বছর ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে শেষবারের মতো বাংলাদেশের হয়ে খেলেন সাকিব। এরপর তিনি ফিট থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জায়গা হয়নি দলে। দেশে ফিরে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার কারণে শেষ মুহূর্তে বিসিবি সেই অনুমতি দেয়নি।
এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও মিস করেন তিনি। এরপর বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ায় দীর্ঘ সময় বাইরে ছিলেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে। প্রায় ছয় মাস পর তিনি ফেরেন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে।
“সাকিব এখনও আমাদের পরিকল্পনায় আছেন”—ইফতেখার রহমান
সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাকিবের জাতীয় দলে খেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান বলেন, “সাকিব আল হাসান যেকোনো দলের জন্য একজন বড় সম্পদ। তাই আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের পরিকল্পনায় সে সবসময়ই থাকে। বোলিং অ্যাকশন শুধরে নেওয়ার পর এটা তার প্রথম টুর্নামেন্ট, যেখানে সে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছে। আরও কিছু ম্যাচ খেলুক, তারপরই আমরা পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারব। ”
মাঠের বাইরের ঝড়, বিসিবির সঙ্গে দূরত্ব
সাকিবের জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ শুধুই পারফরম্যান্স নির্ভর নয়, বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঠের বাইরের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট। সাবেক সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে একাধিক মামলা। তারপরও ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলতে চাওয়া সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। এরপর বিসিবির সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়ে পড়ে প্রায় বিছিন্ন।
তবে ইফতেখার রহমান এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, সম্পর্ক এখনো পেশাদারই আছে, “আমাদের দলের টিম ম্যানেজমেন্ট ও টিম সেটআপে কিন্তু তাকে এখনও গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনা করা হচ্ছে... সে সামনে কেমন পারফর্ম করে, এখন সেটা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে সে যে একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার, সেটা আমরা সবাই জানি। ”
পিএসএলে প্রত্যাবর্তন
সাকিব পিএসএল ২০২৫-এ শুরুতে কোনো দল না পেলেও শেষদিকে লাহোর কালান্দার্স দলে নেয় তাকে বদলি হিসেবে। সেখানে তিনি দুই ম্যাচে এক উইকেট পেলেও ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই আউট হন রানের খাতা না খুলেই।
এমএইচএম