ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

ক্রিকেট

জ্যাকসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে গুজরাটকে উড়িয়ে দিল বেঙ্গালুরু

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
জ্যাকসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে গুজরাটকে উড়িয়ে দিল বেঙ্গালুরু

অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে সহজ এক জয় পাইয়ে দিলেন উইল জ্যাকস। গুজরাট সুপার জায়ান্টসের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় বিরাট কোহলি হাল ধরলেন শুরুতে।

কিন্তু আসল কাজটা করলেন জ্যাকস। বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নেওয়ার পাশাপাশি নিজে পেলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির দেখাও।

২০২৪ আইপিএলের ৪৫তম ম্যাচে আজ ৯ উইকেটে জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরু। আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০০ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল গুজরাট। কিন্তু জ্যাকস আর কোহলি মিলে এই লক্ষ্য মামুলি বানিয়ে ছেড়েছেন। তাদের দল জিতে গেছে ৪ ওভার হাতে রেখেই। এ মৌসুমে বেঙ্গালুরুর এটি মাত্র তৃতীয় জয়।

উইল জ্যাকস যখন ব্যাট হাতে নামলেন, তার আগে ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে গেছেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ও ওপেনার ফাফ ডু প্লেসি। তখন পর্যন্ত রান তাড়ায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। অপরপ্রান্তে বিরাট কোহলি রানের চাকা সচল রাখলেও জ্যাকস নিজে রান তুলছিলেন ওয়ানডের গতিতে।  প্রথম ২২ বলে মাত্র ২৯ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করলেন।  

ফিফটির দেখা পাওয়ার পর এমনই ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেন যে, মাত্র দুই ওভারে খেলা শেষ করে দিলেন তরুণ ইংলিশ ব্যাটার। নিজে শেষ ৫০ রান তুললেন মাত্র ১০ বলে! অপরপ্রান্তে কোহলি রইলেন দর্শকের ভূমিকায়। দুইশর বেশি রান তাড়ায় এত সহজ জয় পাওয়া সম্ভব, কোহলি নিজেও হয়তো ভাবেননি।

অথচ ১৪ ওভার শেষেও ৩৬ বলে ৫৩ রান দরকার ছিল বেঙ্গালুরুর। ২৯ বলে ৪৪ রানে ব্যাট করছিলেন জ্যাকস। কোহলি ততক্ষণে ফিফটি পেরিয়ে ৭০ ছুঁইছুঁই রান করে ফেলেছেন। পরের ওভারের প্রথম দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটির দেখা পান জ্যাকস। মোহিত শর্মার ওই ওভারের সবগুলো বল একাই মোকাবিলা করেন তিনি। এর মধ্যে একটি নো বল ও ডট বল ছিল। নো বলে ছক্কা হাঁকান জ্যাকস। দুই চার ও তিন ছক্কায় ওই ওভারে আসে ২৯ রান।  

১৫তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক বদল করেন কোহলি। এই সিঙ্গেলের মাধ্যমে চলতি আইপিএলে নিজের ৫০০তম রানের দেখা পান তিনি। আইপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি সাতবার ৫০০-এর বেশি রানের রেকর্ড গড়লেন কোহলি। তবে এই রেকর্ড তিনি ভাগ করে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে।  

কোহলির রেকর্ডের নাম লেখানোর পর ফের শুরু হয় জ্যাকসের তাণ্ডব। আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের ওই ওভারেও আসে ২৯ রান। যার মধ্যে ২৮ রান করেছেন জ্যাকস একাই। হাঁকিয়েছেন চারটি ছক্কা ও ১টি চার। ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান জ্যাকস। একইসঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় বেঙ্গালুরুর জয়ও। বেঙ্গালুরুর জন্য এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়ায় জয়। এর আগে ২০১০ সালে ২০৪ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড আছে তাদের।

নিজের শেষ ২৪ বলে ৮৩ রান করেছেন জ্যাকস! কোহলির সঙ্গে গড়েছেন ১৬৬ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ঠিক ১০০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন জ্যাকস। ব্যাট হাতে হাঁকিয়েছেন ১০টি ছক্কা ও পাঁচটি চার। কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ বলে অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো।

এর আগে সাই সুদর্শনের ৪৯ বলে ৮৪* রান ও শাহরুখ খানের ৩০ বলে ৫৮ রানের ইনিংসে ভর করে ২০১ রানের লক্ষ্য দেয় গুজরাট। এছাড়া শেষদিকে ১৯ বলে অপরাজিত ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ডেভিড মিলার।  

১০ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও টেবিলের তলানিতেই আছে বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সাতে অবস্থান গুজরাটের।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।