ঢাকা: হুহু করে বাড়ছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীরগুলোর পানির সমতল। ফলে অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এমন তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবো জানিয়েছে, বর্তমানে সুরমা নদীর কানাইঘাট (সিলেট) পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারার পানি সিলেটের অমলশীদে বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং একই নদীর পানি সিলেটের শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
অন্য এক পূর্বাভাসে পাউবো জানিয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল আগামী দু’দিন বাড়তে পারে ও তৃতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে, এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে অথবা বিরাজ করতে পারে।
এছাড়া রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল আগামী দু’দিন বাড়তে পারে। এ সময়ে তিস্তা ও দুধকুমার নদীসমূহ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ধরলা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হতে পারে। ৩য় দিন নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া, সাঙ্গু, ফেনী, হালদা ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। উক্ত নদীসমূহের পানি সমতল আগামী এক দিন বাড়তে পারে। এ সময়ে মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদীসমূহ সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। দ্বিতীয় দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং তৃতীয় দিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
আবার সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীসমূহের পানি সমতল আগামী দু’দিন বাড়তে পারে এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলাসমূহে নদীসমূহ সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। তৃতীয় দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।
ইইউডি/আরআইএস