ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

দেশে বায়ু বিদ্যুতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১২

ঢাকা: আমাদের দেশের বায়ু বিদ্যুতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ যারা এর বিরুদ্ধে কথা বলেন, তারা না জেনেই বলেন বলে দাবি করেছেন ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) রির্সাস সেলের প্রধান প্রকৌশলী এম এ গোফরান।



বুধবার সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ পরিচালিত সমীক্ষা রিপোর্ট উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে বায়ু বিদ্যুতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের এ সেক্টরের কিছু লোকজনের ভুলের কারণে এই খাত পিছিয়ে আছে। ”

‘বাংলাদেশে টেকসই জ্বালানি পরিকল্পনা ও নবায়ণযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা’ শীর্ষক সমীক্ষায় এ দাবি করা হয়।

তিনি বলেন, “মুন্সীগঞ্জে বাতাসের যে গতিবেগ পরীক্ষা করা হয়, তাতে ৫০ মিটার উচ্চতায় কাঙ্খিত বাতাসের গতিবেগ রয়েছে। কিন্তু বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টারবাইন বসানোর সময় ৩০ মিটার উচ্চতায় বসানো হয়। ”

এ ধরণের ভুলের কারণে দেশের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সফল হচ্ছে না। অন্যদিকে বুয়েটের প্রকৌশলীরা এ বিষয়টি না বুঝেই বায়ু বিদ্যুৎ সম্ভব নয় বলে দিচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এমএ গোফরান পিডিবির চেয়ারম্যানের সমালোচনা করে বলেন, “দায়িত্বশীল স্থানে থেকেও যখন বায়ু বিদ্যুতের বিপক্ষে কথা বলেন, তখন অবাক লাগে। ”

আমেরিকায় ১২৫ মিটার উচ্চতায় উইন্ড স্পিড ৬ দশমিক ২ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে মাত্র ৫০ মিটারে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ৬ দশমিক ৭০।

তিনি দাবি করেন, “আমাদের স্ট্যাডিতে দেখা গেছে, স্থায়ী জ্বালানি নিরাপত্তা গড়তে হলে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির দিকে যেতে হবে। প্রচলিত ব্যবস্থায় জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ”

রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রীলংকান জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. তিলক সিয়ামবালাপিটিয়া। এতে সভাপতিত্বে করেন আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শামসুর রহমান।

সমীক্ষায় জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য নবায়ণযোগ্য শক্তির রোড ম্যাপ প্রণয়ন, এই খাতে ভর্তুকি বাড়ানোসহ ৭ দফা সুপারিশ উস্থাপন করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১২
ইএস/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।