ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ

ঢাকা: পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় জনগণের কাঁধে চাপানো হচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির চাপ শুধুমাত্র শিল্পোদ্যোক্তাদের ওপর নয়, বরং সাধারণ ভোক্তাদের ওপরও এসে পড়বে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আখতার হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ রাশেদ খান, জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সম্পাদক ডা. জাহেদ উর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, এস এম এ কবীর হাসান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য আকবর খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মো. মহিবুল্লাহ বাহার প্রমুখ।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপর হামলা-মাললা-নিপীড়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিকে অযৌক্তিক উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় জনগণের কাঁধে চাপানো হচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির চাপ শুধুমাত্র শিল্পোদ্যোক্তাদের উপর নয়, বরং সাধারণ ভোক্তাদের উপরও এসে পড়বে। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এমনিতেই সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। এ কারণে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থার পাশাপাশি যার প্রভাব পড়ছে রপ্তানি খাতে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে ত্বরান্বিত করবে, অন্যদিকে রপ্তানি খাতের ওপর আরও বেশি চাপ তৈরি হবে।

নেতৃবৃন্দ মনে করেন, গত ১৪ বছরে সরকারের সহযোগিতায় ১০ লাখ কোটি টাকার বেশি দেশ থেকে পাচার হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন এবং দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে স্বজনতোষী সরকার কিছু ব্যবসায়ীকে ব্যাপক আয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছে। কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েই গত ১১ বছরে সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। আর এখন ভর্তুকি কমানোর নামে কয়েক দিন পর পর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে। গত এক যুগে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে নয়বার। এ সময় পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। অবিলম্বে বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।

সভায় আগামী ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ওপর গুলি, হত্যা, নিপীড়ন, নির্যাতন, মামলা, হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২২
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।