ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

বিদেশি পরামর্শে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২২
বিদেশি পরামর্শে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: মোশাররফ

ঢাকা: বিদেশি কোনো পরামর্শে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না তার পরামর্শ দেবে জনগণ, অন্য কেউ না।

ড. মোশাররফ বলেন, জনগণ যেদিন পরামর্শ দেবে, জনগণের আস্থা যেদিন হবে যে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ নিজের হাতে ভোট দিতে পারবে, মেশিনের মাধ্যমে নয়। সেদিন জনগণ বলবে আপনারা নির্বাচনে যান। জনগণের দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। বিদেশি কোনো পরামর্শে নয়।

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সিলেট জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গত ৪ এপ্রিল রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ সহায়তা চান। বৈঠকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র ও নির্বাচনের তাগিদ দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক দল। আজ বাংলাদেশে যে সংকট, তা হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের অধিকার নাই, ভোটের অধিকার নাই, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মামলা, হামলা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। স্বৈরাচারী সরকার, গায়ের জোরের সরকার সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। দেশ আজ ধ্বংসের কিনারায় গিয়ে পৌঁছাছে।

তিনি বলেন, আমরা লজ্জিত, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকাতে গিয়ে ধরনা দিচ্ছেন। ধরনার ইংরেজি হচ্ছে লবিং। কয়েকটি দিন আগেও আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছে বিএনপি নাকি ধরনা দেয়। আজ বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত ধরনা কারা দিচ্ছে। এই সরকার সব দিকে যখন মনে করছে তাদের ব্যর্থতা, সকল ক্ষেত্রে তাদের পরাজয় তখন তারা বিদেশিদের সহযোগিতা চাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ন্যকারজনক।

ড. মোশাররফ আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা তো বেশি কিছু কথা নয়। এই সরকার পর পর তিনটি জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় নির্বাচনে যে কারচুপি, যে ডাকাতি করেছে তাতে জনগণ ভোটের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমাদেরও আস্থা নাই। এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। এটা আমরা ঘোষণা করেছি। এখন সরকারের উচিত পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নিরেপক্ষ নির্বাচন হয় নাই, ভবিষ্যতেও হবে না। সমাধান আমেরিকাতে গিয়ে অনুরোধ করা নয়। আমিরেকার কাছে ধরনা দেওয়া নয়। সমাধান হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। জনগণ যাদের নির্বাচিত করে তারাই সরকার গঠন করবে। এর জন্য আমেরিকাতে গিয়ে ধরনা দেওয়ার অর্থ দেখি না। এতে প্রমাণিত হয় সরকার কি পরিমাণ দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মোক্তাদির আহমেদ, তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামিম আহমদ ও সিলেট জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২২
 এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।