ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নীলফামারী-৪ আসনে ধানের শীষে জন্য ভোট চাইলেন জাপার এমপি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
নীলফামারী-৪ আসনে ধানের শীষে জন্য ভোট চাইলেন জাপার এমপি মো. আমজাদ হোসেন সরকার ও শওকত চৌধুরী। ছবি-সংগৃহীত

নীলফামারী: ছিলেন বিএনপিতে। সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। মাঝে যোগদান করেন জাতীয় পার্টিতে। বর্তমানে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য (এমপি) তিনি। 

দায়িত্ব পালন করছেন বিরোধী দলের হুইপ হিসেবেও। সেই সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী ভোট চাচ্ছেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন সরকারের জন্য।

অনুসারীদেরও নির্দেশনা দিয়েছেন-ভোট চাও আমজাদের জন্য, ধানের শীষের জন্য।

জাতীয় পার্টির একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টি নীলফামারী জেলার আহ্বায়ক ও  কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানের পদে আছেন শওকত চৌধুরী। এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি পার্টি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। আর দশম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অথচ দল এবার তাকে মূল্যায়ন করেনি। এ আসনে পরিবারতন্ত্র বাস্তবায়ন করেছেন পার্টির চেয়ারম্যান। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ওয়াদা বরখেলাপ করে এ গুরুত্বপূর্ণ আসনটিতে নিজের ভাগ্নে আহসান আদেলুর রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছেন।

শওকত চৌধুরী বলেন, আর প্রতারকদের সঙ্গে নয়। এবার ঘরের ছেলে ঘরেই ফিরে আসতে চাই।  

শওকত চৌধুরী ছাত্রদল করতেন। সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন তিনি। পরে যুবদলেরও সভাপতি হন। ৯০ এর দশকে বিএনপির সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের জন্য অনেক ত্যাগ রয়েছে তার। তার দলে ফিরে আসা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন শওকত চৌধুরী নিজেই। এরই মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে শুরু করেছেন মাঠে ময়দানে। নিজের অনুসারীদেরও মাঠে নামিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।  

এ প্রসঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমজাদ হোসেন বলেন, শওকত চৌধুরী আমার ভাই। তিনি দলে ফিরে আসুক, তাকে স্বাগত জানানো হবে। আমরা দু’ভাই মিলে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই, ধানের শীষে ভোট চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।