ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রতীক পাওয়ার পর আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৮
প্রতীক পাওয়ার পর আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন মান্না

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর ঐক্যফ্রন্টকে কেউ আটকাতে পাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

ঐক্যফ্রন্টকে মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না- এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, এখন নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু মার্কা বের হওয়ার পর আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। 'বর্তমান নির্বাচন পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী এলাকা ' নিয়ে কথা বলতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

পুলিশ প্রশাসনে কর্মরতদের উদ্দেশ্যে মান্না বলেন, আপনারাও এই দেশের সন্তান। আপনারা নাগরিকদের করের টাকায় বেতন পান। আমরা এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখি, যেখানে নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে তার সেবক হিসেবে পাবে এবং সবাই শান্তিতে সহাবস্থান করবে। কিন্তু সেই সহাবস্থানের জরুরি পূর্বশর্ত হলো, পুলিশ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের যে হয়রানি করছে সেটা এই মুহূর্তেই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।

‘সবার মনে রাখা উচিত এই সরকারই শেষ সরকার নয়। দীর্ঘ ১০ বছর পর দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে। ‌কিন্তু এই নির্বাচন আদৌ ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আচরণ আমাদের সমাজে এই সন্দেহ প্রতিদিন আরও শক্তিশালী করছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিরোধীদলের জন্য পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতির প্রত্যাশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন নতুন করে পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরো বেশি খারাপ হচ্ছে। ’ 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’-এর ধারেকাছেও নেই। একদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন তীব্র রয়ে গেছে। ’ কথা গুলো আমাদের না, কথাগুলো বলা হয়েছে ব্রিটিশ এমপিদের জন্য তৈরি হাউস অব কমন্সের লাইব্রেরির গবেষণাপত্রের মূল্যায়নে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতার নিয়ম-কানুনের প্রতি (রুলস অব গেম) সার্বিক আস্থার মাত্রা তলানিতে রয়ে গেছে।  

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এই নেতা বলেন, নির্বাচনের সময় পুরো প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে না গেলেও সংবিধানের ১২০ এবং ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার স্বার্থে যে কোনো প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সমর্থন সরকারের কাছে চাইলে সরকার সেটা দিতে বাধ্য থাকে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রতি কোনো রকম চাপ সৃষ্টি করছে না। বরং সরকার যা বলছে সেটাই করছে। কমিশনার রফিকুল ইসলামের বক্তব্য সেটাকে স্পষ্ট করেছে।  

তিনি বলেন, একজন সম্ভাব্য প্রার্থীকে হোটেল রুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ার সংবাদও আমরা পেয়েছি। নির্বাচনের আর খুব কম সময় বাকি থাকলেও এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কথা বলছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহে আলম, নাগরিক ঐক্যের সদস্য ফজলুর রহমান, শহিদুল্লাহ কায়সার, নজরুল ইসলাম, অতিকুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৮
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।