ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আওয়ামী লীগ

সিটি নির্বাচনকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাধ্যম ভাবছে আ’লীগ

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭
সিটি নির্বাচনকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাধ্যম ভাবছে আ’লীগ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৬টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে দলের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচন হলেও এ নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব রাখবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। এ কারণে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে দলটি।

চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে ৬টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিটি করপোরেশনগুলো হচ্ছে- খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, গাজীপুর ও রংপুর। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৫টি সিটি করপোরেশনেই পরাজিত হয় আওয়ামী লীগ। এ কারণে এবার এ সিটিগুলোর নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

স‍ূত্র জানায়, শুক্রবার (২১ জুলাই) আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি এখনও ভালোভাবে শুরু না হওয়ায় দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন।  

এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারলে জনগণের মধ্যে দলের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। এ বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন ছয়টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে প্রথমেই দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ঐক্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থীর উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। সিটি নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে।  

চলতি বছর মার্চে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পরাজিত হয়। পরাজয়ের পেছনে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে বিদ্যমান কোন্দলকে দায়ী করা হয়। তাই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।  

এদিকে গত বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে ফের মেয়র নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিজয়ের ক্ষেত্রে প্রার্থী আইভীর জনপ্রিয়তা একটি বড় বিষয় ছিলো বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন। তাই আসন্ন সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, সিটি নির্বাচনে আমাদের অবশ্যই বিজয়ী হতে হবে। সব নির্বাচনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৭ 
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।